তপন দত্ত খুনের তদন্ত সিবিআইকে দিল হাইকোর্ট, শেষ দেখে ছাড়ব, স্বামীর কথাই আজ স্ত্রীর মুখে

কল্যাণ অধিকারী ও ব্যুরো রিপোর্ট রাজন্যা নিউজ

২০১১ সালে ৬ মে রাতে খুন হয়েছিলেন বালির পরিবেশকর্মী তপন দত্ত। তাঁর আর একটি পরিচয় ছিল তিনি বালির জলাভূমি বাঁচাও কমিটির নেতা তথা তৃণমূল কর্মী। এলাকার জলাভূমি বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তপন দত্ত। কিন্তু অনেকের চক্ষুশূল হয়ে পড়েন। এরপর রাতে দুষ্কৃতিদের হাতে কুপিয়ে খুন হতে হয়েছিল এমনটাই ছিল অভিযোগ। সেই ঘটনায় মোড় ঘুরল বৃহস্পতিবার। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ।

স্বামীর মৃত্যুর সঠিক তদন্তের জন্য দীর্ঘ লড়াই চালিয়েছেন স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। দীর্ঘ মামলা লড়াইয়ের শেষে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে সিবিআই তদন্তের। তবে লড়াই শেষ হয়নি সবে শুরু এমনটাই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, যারা সেদিন খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল জামা খুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাকে থাকতে হয়েছে হুমকি শুনে ঘরের জানালা বন্ধ রেখে। স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই ছাড়া কোনভাবেই এই তদন্তের কিনারা মিলবে না! তবে বিচার পেতে লড়াই আরো চার-পাঁচ বছর চালাতে হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, মুম্বই রোডের গায়ে জয়পুর মোড় এলাকায় এক দশক আগে দিগন্ত বিস্তৃত ছিল জলাভূমি। সবজি ও মাছ চাষ করেই সংসার চলত হাজারো মানুষের। ওই জলাভূমি নজরে ছিল জমি হাঙরদের। তাঁদের বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছিলেন তপন। তাঁর সঙ্গে ছিল বালি জগাছা ব্লক এলাকার ‘জলাভূমি বাঁচাও কমিটি’র সদস্যরা। তবে এই কাজের জন্য দলের একাংশের ক্ষোভের মুখেও ছিলেন তিনি। বাংলায় পরিবর্তনের সরকার গঠনের পর তৃণমূলে ভিড়েছিল বিভিন্ন দলের কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে জমি হাঙরদের কিছু ছিল বলেই মত অনেকের। তাতেও দমেননি তপন দত্ত। জলাভূমি বাঁচাতে এক বুক স্বপ্ন নিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সব শেষ হয়ে যায় ২০১১ সালে ৬ মে রাত দশটা নাগাদ। বালি ষ্টেশনের কাছে রেল গেটের পাশে খুন হন তপন দত্ত। মৃত্যুর এগারো বছর পর তদন্তে এবার সিবিআই। স্বামীর মৃত্যুর বিচার পাবেন আশায় প্রতিমা দত্ত।

pic collected

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *