শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মুখ খোলায় হাওড়া বিজেপি সদর সভাপতি বহিস্কৃত
কল্যাণ অধিকারী
হাওড়ায় পুরভোট ১৯ ডিসেম্বর। তার আগেই হাওড়া বিজেপি-তে জোর কোন্দল। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলে বহিস্কৃত হলেন হাওড়া সদরের জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা।
ঠিক কি নিয়ে কোন্দলের সূত্রপাত? বিজেপির একটি সূত্রের খবর হাওড়া পুরভোটে বিজেপির একটি কমিটি গঠন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই কমিটি পুরভোটে কাজ করবে। তারপরেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “হাওড়ায় বিজেপির হারার কারণ অরূপ রায়ের সঙ্গে দহরম মহরম রয়েছে এক বিজেপি নেতার।” তিনি আরও বলেন, “এখানে নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন।” লক্ষ্য যে তিনি বুঝতে দেরি করেননি সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা। এরপরেই শুরু হয়ে যায় বাদানুবাদ। বিরোধী দলনেতাকে নারদ কান্ডে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে বলে তোপ দাগেন সুরজিৎ। তাঁর আরও অভিযোগ বি টিমের হয়ে কাজ করবে না বিজেপি। তিনি ২৮বছর বিজেপি করছেন। আর উনি ৬ মাস এসে কমিটি গঠন করবে কেন। উনি আগে সততার প্রমাণ দিন। জেলা সদরের সভাপতি সাংবাদিকদের সামনে এইভাবে মুখ খোলায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে দল। এরপরেই তাঁকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জোর জলঘোলা শুরু হয়েছে। হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী একুশের বিধানসভা ভোটের আগে দল বদলে গিয়েছেন বিজেপিতে। বিধানসভা ভোটে শিবপুরের বিজেপি প্রার্থী হন রথীন৷ ভোটে আশানুরূপ ফল করতে পারেননি। একি সঙ্গে জেলায় সব কেন্দ্রে হারে বিজেপি প্রার্থীরা। পুরভোটের আগে হাওড়ায় শুভেন্দু নাম না করে সদরের শীর্ষ নেতাদের নিশানা করেন। তিনি বলেন, হাওড়া জেলার এক নেতা অরূপ রায়ের সঙ্গে দহরম মহরম রয়েছে। এরপরেই শুভেন্দুকে নারদ কান্ডে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে বলে তোপ দাগেন বিজেপির হাওড়া সদরের জেলা সভাপতি। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহাকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। এরপর কি করবেন তিনি? তৃণমূলে যোগ দেবেন তা স্পষ্ট করেননি সুরজিৎ। তবে তিনি যে আরও মুখ খুলবেন তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। এ প্রসঙ্গে জেলা সদর তৃণমূলের কোন মন্তব্য মেলেনি।
ReplyForward |