ভোটের মুখে উদ্বোধন হল হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর যাত্রী পরিষেবা শুরু নিয়ে ধোঁয়াশা
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
চব্বিশের লোকসভা ভোটের মুখে গঙ্গার নীচ দিয়ে চলাচলের জন্য মেট্রো রেল উদ্বোধন হল কলকাতায়। প্রধানমন্ত্রী এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কে সঙ্গে নিয়ে সবুজ প্রতাকা নেড়ে সূচনা করলেন। এর পাশাপাশি আরও একাধিক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে মেট্রোয় চেপে পৌঁছালেন হাওড়ায়।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত দূরত্ব ৪.৮ কিলোমিটার। এই প্রকল্পকে ঘিরে আবেগ ছিল হাওড়া বাসির। তবে, উদ্বোধন হলেও এখনি মেট্রোয় চড়ার সুবিধা পাচ্ছেন না সাধারণ যাত্রীরা। কিন্তু তাতে কি! একদিন না একদিন তো ছাড়পত্র মিলবে। দেশের ‘গভীরতম’ মেট্রো স্টেশনে প্রবেশের আগে কি বলছেন হাওড়ার মানুষজন? আন্দুলের বাসিন্দা তীর্থংকর ব্যানার্জি। সল্টলেকে চাকরি করেন। ওঁর কথায় মেট্রো পরিষেবায় উপকৃত হবে হাওড়ার পাশপাশি মেদিনীপুর, খড়গপুর, মেচেদা, হুগলির হাজার হাজার মানুষজন। এতদিন যাতায়াতে যে সমস্যা পোহাতে হতো তার অনেকটাই মিটবে। পাপিয়া অধিকারী কদমতলা এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চাকরি করেন। নিয়মিত নিউটাউনে বাসভবনে পৌঁছাতে রাস্তার যানজট সমস্যায় পড়তে হয়। হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন হওয়ায় স্বভাবতই খুশি। পাপিয়ার কথায়, গঙ্গার নীচে দিয়ে মেট্রো পরিষেবা মিলবে যা অত্যন্ত খুশির খবর। তবে হাওড়া ময়দান থেকে শিয়ালদা দ্রুত যুক্ত হোক। তাহলে হাওড়া ময়দান থেকে মেট্রো পথে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পৌঁছাতে অনেক সময় বাঁচবে।
এই উদ্বোধন নিয়ে হাওড়া তৃণমূলের একাংশের নেত্রীর হাত দেখছেন! বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ২০০৯ এবং ২০১০ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রথম এই প্রকল্পগুলি শুরু করেন। এবং রেল বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করান। কিন্তু কৃতিত্ব নিতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সেদিন যদি এই সমস্ত প্রকল্পের শুরু না করলে ভোটের মুখে আজ উদ্বোধন করবার সুযোগ উনি কি পেতেন!
হাওড়া ময়দান থেকে মেট্রো ছেড়ে প্রথম থামবে হাওড়া স্টেশন। তারপর নব মহাকরণ স্টেশন হয়ে এসপ্ল্যানেড। তার জন্য নদীর তলায় দু’টি টানেল ৫২০ মিটারের। ৩০ মিটার নদীর গভীর দিয়ে দৌড়ে মেট্রো পৌছে যাবে হাওড়া স্টেশন। এই হাওড়া মেট্রো স্টেশন হচ্ছে ভারতের ‘গভীরতম’ মেট্রো স্টেশন। যা ১১৪ ফুট নিচে মাটির তলায় অবস্থিত। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ৪.৮ কিলোমিটার, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত ৫.৪ কিলোমিটার এবং জোকা-তারাতলা মেট্রোপথের মাঝেরহাট পর্যন্ত ১.২৫ কিলোমিটার সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন হল বুধবার ৬ মার্চ।
pic collected