রাতভর বৃষ্টিতে হাওড়ায় অন্তত ৩০টি ওয়ার্ড জলমগ্ন, নাজেহাল শহরবাসী
কল্যাণ অধিকারী
রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন এলাকার জল নামাতে পুরসভা অতিরিক্ত পাম্প চালাচ্ছে
কারসেড এলাকার রেললাইন জলের তলায়, ধীর গতিতে চলছে ট্রেন
পাঁচলায় মাটির বাড়ি ভেঙে আহত বাড়ির একাধিক বাসিন্দা
রাত থেকে প্রবল বৃষ্টির জেরে সপ্তাহের প্রথম দিন সদর হাওড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায় জল জমেছে। হাওড়া-আমতা রোড জলমগ্ন। বালটিকুড়ি, দাসনগর, সানপুর, পঞ্চাননতলা, রামরাজাতলা, টিকিয়াপাড়া, বেলগাছিয়া, বেলিলিয়াস রোড, সালকিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় হাঁটু সমান জল। জমা জল ঠেলে কোনরকমে যান চলাচল করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে হাওড়া পুরসভার অন্তত ৩০টি ওয়ার্ড জল জমেছে। কোথাও হাঁটু সমান। কোথাও আবার গোড়ালি সমান। হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালের সামনে জলমগ্ন। অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। লিলুয়া এলাকায় জলবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষজন। বেলুড় স্টেশন এলাকার আন্ডারপাস সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। সাঁতরাগাছি স্টেশন লাগোয়া বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন। আন্ডারপাস জলে ভরে যাওয়ায় ট্রেন যাত্রীদের যাতায়াত করতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। টিকিয়াপাড়া কারসেড এলাকা ও হাওড়া কারসেড এলাকায় রেল লাইন জলের তলায়। হাওড়া স্টেশনে ঢুকতে একাধিক ট্রেনের সমস্যা হচ্ছে।
হাওড়া পৌরনগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হাওড়া পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের বেশিরভাগ এলাকায় জল জমেছে। জল বের করার জন্য পাম্প চালু করা হয়েছে। ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে জল বেশি থাকায় অতিরিক্ত পাম্প চালানো হচ্ছে। কাজিপাড়া মোড়ে পাম্প চালিয়ে জল বের করা হয়েছে। ২৫ টি পাম্প চলছে। বেশকিছু অতিরিক্ত পাম্প বসানো হয়েছে। গঙ্গার জলস্তর বাড়ার জন্য যাতে করে গঙ্গার জল শহরে ঢুকে না পড়ে সে কারণে লকগেট বন্ধ করা হয়েছে। তারপরেও জল বের করার চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে গ্রামীণ হাওড়ার পাঁচলা থানার জয়রামপুরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো মাটির বাড়ি। ভোর ৫টা নাগাদ ভেঙে পড়ে বাড়ি। আহত হন বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। তাঁদের চিকিৎসা করানো হয়।