মা’কে বিদায় জানাতেই হল, শুভ বিজয়া

কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ

রাত বাড়ছে সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিজয়ার বেদনা। আবারও অপেক্ষার দিন গোনা। নতুন করে সবকিছুর শুরু। সকাল হোক বা মাঝরাত সমস্তটা নিজের মতন করে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা। এখন ভুলত্রুটি গুলোকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করে না কোন ব্যক্তি। বাধ্য হয়ে শিখে নিতে হচ্ছে ভুল কে এড়িয়ে যাওয়ার ফর্মুলা।

কৈলাসে ফিরে যাবার পথ এতক্ষণে ধরেছেন মা দুর্গা। হিমালয়ের পুরু বরফের স্তর দিয়ে পাড়ি জমাবেন। ক’দিন বেশ চলছিল। আবার সেই রাজনৈতিক কচকচানি। টিভি চ্যানেলের অফিসে বসে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বার্তা দেবেন নেতা। চাকরি না পেয়ে ক্রমাগত আত্মীয়-পরিজনদের কথা শুনতে শুনতে পাগল হওয়ার উপক্রম হবে যুবকের। ৬কিমি পথ যেতে পঞ্চাশ টাকার তেল শেষ। শুধুই বিরক্তির ধ্যাততেরিকি।

উন্নত জীবন, আত্মনির্ভরতা শুনে, পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়তে থাকা দেখে, কোভিড বিধি মানতে গিয়ে পেটের ক্ষুদা মিটে গেয়েছে! এসবের থেকে ক’দিন মুক্তির স্বাদ পেয়েছিল বাঙালি। তারও শেষ হল। এবার টেনশনে ঠিকঠাক হবে না রাতের ঘুমটা। ওয়েটিং লিস্টে চলে যাবে জীবন। তারপরও প্ররোচনাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সুস্বাদু স্যুপ, স্যালাড, চিকেন খেতে খেতে ভাববেন জীবনের সমস্তটা। কিন্তু এরপরও প্রশ্ন উঁকি দেয়, কেকেআর কি ভাববে কার্তিককে আলবিদা জানাতে? না-কি বোঝা বয়ে যাবে?

যাইহোক ক’দিন পরে আমরাও চলেছি হিমালয়ের কোলে। তারপর দক্ষিণের ব্যালকনি দিয়ে ক’টাদিন তাকিয়ে থাকব বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার দিকে। যদি একটিবার মায়ের ডাক শুনতে পাই…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *