রাজনীতি নয় অভিনয়কে ভালোবাসি আমতায় বললেন আবীর চ্যাটার্জি
কল্যাণ অধিকারী রাজন্যা নিউজ, এডিটর
রাজনীতির সঙ্গে বিনোদন দুনিয়া আস্টে পিস্টে জড়িয়ে। দেব থেকে মিমি, তাপস পাল শতাধী রায় থেকে নুসরত তৃণমূলের টিকিটে দিল্লি যাত্রা করেছেন। চিরঞ্জিত থেকে বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা প্রত্যেকেই তাঁদের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। রাজ্য রাজনীতির তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করছে। এমন একটি সময় ডাক পেলে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেবেন? প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা আবীর চ্যাটার্জি বললেন ‘অভিনয়কে ভালোবাসি রাজনীতি নয়’।
মঙ্গলবার আমতায় নিউ রানা টেলকম সেন্টারে মোবাইলের প্রচারে এসেছিলেন আবীর। অভিনেতাকে একটি বার দেখতে বিভিন্ন বয়সী বহু সমর্থক ভিড় করেছিলেন। হাসিমুখে সেলফি উপহার দিলেন তিনি। রাজনীতির দুনিয়ায় অজয়পারের বীরভূমে টানা তিন বারের সাংসদ অভিনেত্রী শতাধী রায়। দেব তিন’বারের। মিমি এবং নুসরত জুটি গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদে পা রেখেই সেলফি তুলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। প্রবীণ অভিনেতা দীপঙ্কর দে, ভরত কল এবং লাভলি মৈত্র, বনি, কৌশানী, সায়ন্তিকা-শ্রাবন্তী থেকে তৃণা-সৌমিতৃ-সহ বহু বিনোদন তারকারা পৌঁছে গিয়েছেন রাজনীতির আঙিনায়। তাহলে স্বতন্ত্র রাজনৈতিক চিন্তাধারায় কেন যুক্ত হচ্ছেন না, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে হ্যান্ডসম অভিনেতা বলেই পরিচিত আবীর চট্টোপাধ্যায়! আবীর বলেন, কেন সিনেমায় দেখে কি ভালো লাগছে না? তাহলে রাজনীতিতে কেন আসতে বলছেন! অভিনয়েই আমি ভালো আছি।
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সিনেমা হলে দিনে অন্তত একটি বাংলা ছবি দেখানো বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এ প্রশ্নে আবীরের জবাব, বাংলা সিনেমা হল পাবে। সরকার এবং আমাদের এ্যাসোসিয়েশন বলে দিয়েছে প্রতিদিন সিনেমা হলে অন্তত একটা বাংলা ছবির শো চলবে এটা অত্যন্ত ইতিবাচক একটা সিদ্ধান্ত। একিসঙ্গে আমাদের আরও ভালো কাজ করতে হবে। ধন্যবাদ জানাই সরকারকে এবং কতৃপক্ষকে। আমাদেরকে আরও ভালো কাজ করতে হবে। মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।