একুশের সমাবেশের আগেই গ্রামীণ হাওড়ায় কংগ্রেস ছেড়ে ৩০টি পরিবার তৃণমূলে
কল্যাণ অধিকারী
একুশে জুলাইয়ের আগেই গ্রামীণ হাওড়ায় কংগ্রেসে ভাঙন। আমতা কেন্দ্র কিষাণ কংগ্রেসের সভাপতি শৈবাল মন্ডল সহ কংগ্রেসের প্রায় ৩০টি পরিবার বুধবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন আমতা বিধানসভার বিধায়ক সুকান্ত পাল।
জানা গেছে, কল্যাণপুর অঞ্চলের বেশ কয়েকজন কংগ্রেসের পদাধিকারী এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহম্মদ ইলিয়াস, সেখ আলতাব হোসেন, জাভেদ আহমেদ। এঁরা কংগ্রেসের পদাধিকারী ছিলেন। মহম্মদ ইলিয়াস ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। বর্তমানে কংগ্রসের অঞ্চল কার্যকারী সভাপতি। বাগনান-১ এর প্রাক্তন কর্মাধক্ষ্য দীপক সাহা এদিন দল বদল করেন। এর পাশাপাশি কল্যাণপুর অঞ্চলের ১৭টি কংগ্রেস পরিবার তৃণমূলে যোগ দেন। উল্লেখযোগ্যভাবে যুব মোর্চার পদাধিকারি উজ্জ্বল রং এবং কংগ্রেসের সুভাষ মাঝি এদিন পুরনো দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
সুকান্ত পাল জানান, “প্রায় ৩০টি কংগ্রেস পরিবার এদিন বাকসিহাট অঞ্চল দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলে যোগ দান করেন। কংগ্রেসের কার্যকর্তারা অনেকদিন ধরেই যোগাযোগ করছিলেন। তাঁরা তৃণমূলে ফিরে কাজ করবার জায়গা পেলেন। একুশের শহিদ সমাবেশে মিছিল করে যাবেন। জননেত্রীর বক্তব্য শুনবেন।”
দল পরিবর্তনের জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস কার্যকর্তারা। তাঁদের কথায়, ‘কংগ্রেসে থাকাকালীন নেতৃত্বকে পাশে পাইনি। তৃণমূলে যোগ দিয়েছি কাজ করবার লক্ষ্য নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর সৈনিক হিসাবে কাজ করতে চাই’।
চিত্র রাজন্যা নিউজ