বকেয়া হাতে পাওয়া হতদরিদ্র মানুষজনের মুখে উনি ‘মানবিক মুখ্যমন্ত্রী!’
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
জনগনের বিশ্বাস ও ভরসার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ কথা এতকাল বলে এসেছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। এবার প্রত্যন্ত গ্রামের হতদরিদ্র মানুষজনের মুখে শোনা গেল বিশ্বাস ও ভরসার নাম মমতা। ‘মানবিক’ মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যে অবশেষে অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা। তারপর! বৃহস্পতিবার জয়পুর থানার থলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিধায়কের উপস্থিতিতে গ্রাম সভায় উপচে পড়লো গ্রামবাসীদের ভিড়।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তের উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বকেয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা। থলিয়ার গ্রাম্য সভায় পূর্ণীমা, দীপা, মঙ্গলা প্রত্যেকে জানালেন খুশির কথা। ওদের কথায়, “আমরা তো ১০০ দিনের বকেয়া টাকা পাবার বিষয় ছেড়েই দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীও শুনলেন না তাঁদের মন্ত্রীরাও শোনেননি। মানবিক দিদি আমাদের কষ্টের কথা বুঝেছেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ১০০ দিনের কাজের বিকেয়া টাকা পেয়েছি।” এদিন পঞ্চায়েত অফিসের সামনে খাটানো ছাউনি ও রাখা চেয়ার অনুষ্ঠান শুরুর আগেই ভরে যায়। তৃণমূল নেতাদের কানাকানি এতটা ভিড় হবে জানলে ছাউনি বাড়ানো হতো চেয়ার আনা হতো বেশি।
বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১০০ দিনের কাজের সমস্ত বকেয়া মজুরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌছে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশেষ গ্রাম সভা আজ অনুষ্ঠিত হল। সদ্য ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরির অর্থ প্রাপ্ত শ্রমিকদের উপচে পড়া ভিড় জানান দিল রাজ্যের মানুষের পাশে থাকেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী।
১০০ দিনের কাজ করেও টাকা মেলেনি। গত কয়েক বছর ধরে অপেক্ষা করে ছিলেন হতদরিদ্র মানুষজন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মেলেনি টাকা। রাজ্যের পক্ষ থেকে লোকসভা ভোটের মুখে ১০০ দিনের টাকা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। যা অনেকেই মমতার মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন।