ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়ে ম্যাচ ও সিরিজ পকেটে পুড়ল ভারত
কল্যাণ অধিকারী
হাইলাইটস
❏ ৪৮.২ ওভারে ভারত ১০ উইকেটে ৩২৯ রান করে, জবাবে ৯ উইকেটে ৩২২ রান ইংল্যান্ডের
❏ একাধিক ক্যাচ মিস ও হতশ্রী ফিল্ডিংয়ের মধ্যেও অসাধারণ ক্যাচ নিলেন কোহলী, হার্দিক
❏ ভারতের সফল বোলার শারদুল ও ভুবনেশ্বর, ব্যাটে ঝলসালেন শিখর, পন্থ, হার্দিক,
ইংল্যান্ডের অষ্টম উইকেট পতন হয়েছিল ২৫৭ রানে। ম্যাচ প্রায় ভারতের পকেটে। তারপরও একের পর এক ক্যাচ ফেলে সহজ জয় কঠিন করে ফেলে। শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ১৪ রান। কোহলি বল তুলে দিলেন টি নটরাজনের হাতে। শেষ দুই বলে দরকার ছিল ১২ রান। নটরাজনের বলে পঞ্চম বলে চার মারলেও শেষ বলে স্যাম কারেনের ব্যাটে শূন্য রান। ৭ রানে ম্যাচ ও ২-১ এ একদিনের সিরিজ জিতে নিল টিম কোহলী।
রবিবার দোল উৎসবের দিনে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টসে ভারতের হার। প্রথম ব্যাট করে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ৩৩০ রানের টার্গেট রেখেছিল ভারত। রোহিত করেন ৩৭ রান। শিখর ধাওয়ান করেন ৫৬ বলে ৬৭ রান। ঋষভ পন্থ ৬২ বল খেলে চারটি ছয় ও পাঁচটি চারের মাধ্যমে ৭৮ রান করেন। পন্থ ফিরে গেলেও হার্দিক ঝড় অব্যাহত ছিল। স্টোকসের বলে যখন তিনি থামলেন নামের পাশে উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা ৪৪ বলে ৬৪ রান। পাঁচটি চার ও চারটি বিশাল ছয় হাঁকালেন তিনি। শেষের দিকে নেমে ক্রুনাল পান্ডিয়া বানালেন ২৫ রান। এবং শারদুল ঠাকুর ৩ টি ছয় ও একটি চার মেরে ৩০ রান করে গেলেন। তবে বিরাট এদিন দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। তিনি ১০ বল খেলে ৭ রান করেই আলির বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। ৩৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। প্রাথমিক ঝটকা দেন ভুবনেশ্বর কুমার। জেসন রয় ও বেয়ারস্ট্র কে ফেরান তিনি। ইংল্যান্ডের রান তখন ২৮। তারপর নিয়মিত উইকেট হারালেও ব্যাট হাতে একাই ভারতীয় বোলারদের জবাব দিলেন স্যাম কারেন। যদিও তাঁর ক্যাচ ফেলেন হার্দিক ও নটরাজন।
এদিনের সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচ ছিল অনিশ্চয়তায় ভরা। আঁটসাঁট ফিল্ডিংয়ের বদলে একের পর এক ক্যাচ ফেলা। একাধিক মিস ফিল্ডিং। একিসঙ্গে বোলিং বিভাগও ছিল নড়বড়ে। তবে ৪৯ তম ওভারে দুরন্ত বোলিং করলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। যার ফল স্বরূপ বলের থেকে রানের ব্যাবধান কমাতে পারেনি ইংল্যান্ড। শেষ ওভারে নটরাজনের বোলিং ছিল উইকেট-১-০-০-৪-০। টিম ইন্ডিয়া জয় পেল ৭ রানে। একিসঙ্গে ম্যাচ ও সিরিজ জিতে নিল তাঁরা। ভারতের হয়ে শারদুল ঠাকুর নেন ৪টি উইকেট। ভুবনেশ্বর কুমারের ঝুলিতে ৩ উইকেট। নটরাজন নেন ১টি উইকেট। ইংল্যান্ডের সফল বোলার মার্ক উড। নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ব্যাক্তিগত ৯৫ রানের সুবাদে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন স্যাম কারেন। ম্যান অফ দ্যা সিরিজ হয়েছেন জনি বেয়ারস্ট্র। তিন ম্যাচে তিনি করেছেন ২১৯ রান।