আমতায় পিছিয়ে পড়া আদিবাসী মহিলাদের স্বনির্ভর করতে পাশে দাঁড়াল বোরহানি ওমেন্স এসোসিয়েশনস

কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ

আমতা-২ ব্লকের খড়িয়প আদিবাসী পাড়ায় পিছিয়ে পড়া মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে আদিবাসী মহিলাদের পাশে দাঁড়ালেন গুজরাটি বোরহানি ওমেন্স এসোসিয়েশনস এর সদস্যরা। করোনা পরিস্থিতিতে কাজকর্ম না থাকায় সমস্যায় ওঁরা। বুধবার কলকাতা সায়েন্সসিটি এলাকা থেকে সাতজন মহিলা দুটি গাড়িতে করে আসেন খড়িয়প গ্রামে। পিছিয়ে পড়া মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে মহিলাদের হাতের কাজ শেখানোর পাঠ দেন। একিসঙ্গে ৩৫টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল ত্রিপল। শিশুদের দেওয়া হল শিক্ষা সামগ্রী। যাতে করে আদিবাসী মহিলারা নিজেরা স্বনির্ভর হয়। পিছিয়ে না থাকে।

বোরহানি ওমেন্স এসোসিয়েশনসের সদস্যদের কথায়, আদিবাসী মহিলাদের সাবলম্বি করার জন্য সেলাই মেশিন সহ বিভিন্ন কাজে হাতে কলমে ট্রেনিং দেবার কথাবার্তা সম্পূর্ণ করেন। হাওড়া জেলা লোক সাহিত্য ও লোক সংস্কৃতির ক্ষেত্র সমীক্ষা গ্রুপের কাছ থেকে আদিবাসী পরিবারের ঘরের দুরবস্থার কথা জানতে পেরে এদিন ৩৫টি ত্রিপল আনা হয়। প্রতিটি পরিবারের হাতে দেওয়া হয় ত্রিপল। ডাঃ সৈয়দনা মুফাদ্দাল সাইফুদ্দিন দূরদর্শিতা যে গ্রামাঞ্চলকে নগর অঞ্চল হিসাবে গড়ে তোলা উচিত। মহিলা এবং শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা। সেইমতন ওঁনাদের পাশে এসে দাঁড়ানো।

সংস্থার পক্ষ থেকে তাসনিম, সাকিনা, ফরিদা জামালি জানান, আদিবাসী পরিবারগুলো যেখানে থাকেন ওখানে বাথরুমের ব্যবস্থা নেই। শিক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। মাস কয়েকের মধ্যেই বাথরুম বানানো হবে। একিসঙ্গে একটি স্কুল তৈরি করা হচ্ছে। এতে করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দুটোই রক্ষা পাবে। ওঁদের মাটির ঘরগুলো অতুন্ত খারাপ। জল পড়ছে। আপাতত প্রথম দফায় এদিন ৩৫টি ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। অগাস্ট মাসে দ্বিতীয় দফায় সেলাই মেশিন দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। এরফলে মহিলাদের হাতের কাজ শেখার ব্যবস্থা করা হবে।  

স্বনির্ভর করতে পাশে দাঁড়াল

Indigenous women who are left behind

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *