রাজীব-সব্যসাচীকে নিয়ে দলের অন্দরে প্রবল ঝড়, গদ্দারদের স্থান নেই সাফ কথা তৃণমূলে
কল্যাণ অধিকারী
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। শনিবার কুণাল ঘোষের বাড়িতে বিকেলে যান রাজীব। দীর্ঘক্ষন বৈঠক করেন। তারপর বেরিয়ে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই শুরু হয়েছে খোঁচা দেওয়া। আর তা এসেছে তৃণমূলের দিক থেকেই।
সপুত্র মুকুল রায় তৃণমূলে ‘ঘরওয়াপসি’ ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কুণালের উত্তর কলকাতার বাসভবনে পৌঁছে যায় রাজীব। বৈঠক হয় দীর্ঘক্ষণ। ততক্ষণে টিভির পর্দায় ব্রেকিং চলছে। পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই লাগাতার আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেও চুপ থাকেননি কল্যাণ। একটি বাংলা টিভি চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘‘কুণাল, রাজীব বলছেন, এটা সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। ওঁদেরই শুধু বুদ্ধি আছে, আমাদের নেই?’’ এখানেই থেমে থাকেননি। তিনি আরও বলেন ‘‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্যালু ইজ জিরো। সেটা আমরা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছি।”
মুকুলের সঙ্গে রাজীব-সব্যসাচীর সক্ষ্যতা বহুদিনের। একসঙ্গে ছিল তৃণমূলে। দলবদলে বিজেপিতেও ছিলেন একসঙ্গে। মুকুল ফিরেছেন তৃণমূলে। তাঁরাও যে ফিরবেন একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু দলে ফিরুক রাজীব সঙ্গে সব্যসাচী, মেনে নেবে না ডোমজুড় বিধানসভা ক্ষেত্র। শনিবারও পোস্টার পড়েছে ডোমজুড়ে। গদ্দার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একি অবস্থান সব্যসাচীর ক্ষেত্রেও। সব্যসাচীর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে ঘোর আপত্তি সুজিত বসুর। বিধাননগরর বিধায়ক তথা দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ্যেই আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা সব্যসাচীকে নিয়ে তিনি মোটেই নমনীয় হবেন না। ফলে রাজীব-সব্যসাচী নিয়ে দলের মধ্যেই ক্ষোভ চরমে।
কুনালের সঙ্গে বৈঠকের পর এবার কি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সৌগত রায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ? তা দু একদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। একটা বিষয় ঠিক নেতাদের দুয়ারে ঘুরেঘুরে নেত্রীর স্মরণাপন্ন হতে চাইছেন রাজীব।