হলদি নদীর পারে পদ্মের শুভেন্দুকে হারাতে জোড়াফুলের রাজীব?
কল্যাণ অধিকারী রাজন্যা নিউজ
২১-এর ভোটে রাজ্যে সবথেকে নজরকাড়া আসন ছিল নন্দীগ্রাম। এখানে প্রার্থী হয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তারপর হলদি নদী দিয়ে বিস্তর জল গড়িয়েছে। ১ হাজার ৯৫৬ ভোটে মমতাকে হারানো বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এবার প্রার্থী হাওড়ার রাজীব ব্যানার্জি? বৃহস্পতিবার এই প্রশ্নে জর্জরিত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
হলদি নদীর তীরে জোড়াফুল ফোঁটাতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কেন? তৃণমূলের একটি সূত্র বলছে, ২৬-এর ভোটকে পাখির চোখ করে বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে, আগামী ১৩ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নন্দীগ্রাম নিয়ে বিশেষ বৈঠক করবেন অভিষেক। সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে জল্পনার মধ্যেই রাজীবের নাম ছড়িয়েছে তৃণমূলের একাংশ। কারণ রাজীবের মধ্যে সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলানোর রেকর্ড ভালো। সে কারণে
রাজীবকে মন্ত্রী করেছিলেন মমতা। প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নন্দীগ্রামের গোষ্ঠীকোন্দল থামানোর উদ্যোগী হবেন তিনি। এই কারণেই রাজীবকে নন্দীগ্রামে পাঠাতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও এখনও রাজীব বা তৃণমূল নেতৃত্ব কেউই এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি।
তৃণমূলের অন্য একটি সূত্রের কথায়, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে দলের পর্যবেক্ষক ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান দেবাংশু ভট্টাচার্য। কিন্তু রাজীবের ভূমিকায় সন্তুষ্টই ছিলেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। পাশাপাশি তমলুক লোকসভার নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক মাটির সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন রাজীব। ওখানকার সংগঠনের সঙ্গেও তাঁর ভালো যোগাযোগ। তাছাড়া এই মুহুর্তে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করানোর মতো স্থানীয় তৃণমূলের ‘ওজনদার’ মুখ নেই নন্দীগ্রামে। তৃণমূলের একাংশের যুক্তি আমেঠিতে রাহুল গান্ধীকে হারানো বিজেপির হেভিওয়েট স্মৃতি ইরানি ২৪-লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের কিশোরী লাল শর্মার কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। তাই ভোটে এমন ওলটপালট হয়েই থাকে। তাছাড়া শুভেন্দু যে জিতেছে নন্দীগ্রামে, ভোটগণনা নিয়ে মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। হলদি নদীর পাড়ে রাজীবকে এনে বিপুল পরিবর্তনের আশায় তৃণমূল।