ডিভিসির ছাড়া জলে ভেসে গেল একাধিক বাঁশের সেতু, বিচ্ছিন্ন দ্বীপে নৌকাই ভরসা
কল্যাণ অধিকারী
ডিভিসির ছাড়া জলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে ভেসে গেল গ্রামীণ হাওড়ার দ্বীপাঞ্চলের চারটি বাঁশের সেতু। ওই সময় সেতুতে থাকা বেশকিছু মানুষজন অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন। সেতু ভেসে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়লেন দ্বীপাঞ্চল এলাকার হাজার-হাজার মানুষ। ঘটনার বিষয় জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের টিম। যান বিধায়ক সহ অন্যান্য আধিকারিক।
তিন নদীতে ঘেরা আমতা বিধানসভার দ্বীপাঞ্চল এলাকার মানুষজনের যাতায়াতের জন্য রয়েছে একাধিক বাঁশের সেতু। তবে বছরভর চিন্তায় থাকতে হয় এই বুঝি জল ছাড়ল ডিভিসি, ভেসে গেল বাঁশের সেতু! শুক্রবার কাজে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে ছিলেন গ্রামের মানুষজন। আচমকা ডিভিসির ছাড়া জলে দুকুল ছাপিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। একের পর এক বাঁশ ও কাঠের সেতু ভেঙে যেতে থাকে। হাওড়া জেলার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গ্রামীণ হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা-চিতনান এলাকা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়। চলে আসেন বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল পৌঁছে যান। ছিলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিদ্যা সহ বহু আধিকারিক।
সুকান্ত পাল জানান, ডিভিসির আচমকা জল ছাড়ায় কুলিয়া, গায়েনপাড়া এবং টাকিপাড়ায় বাঁশের সেতু ভেঙে গিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে থাকার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দ্বীপাঞ্চলের দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যা মেটাতে খুব শীঘ্রই পাকা সেতু নির্মাণ শুরু হবে।
পুজোর ছুটি কাটিয়ে কাজে বেরিয়ে সকালেই একের পর এক বাঁশের সেতু ভেঙে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এলাকার মানুষজন। পাশে রয়েছে প্রশাসন, বিধায়ক। নৌকার ব্যবস্থা করা হয়। হঠাৎ করে জল ছাড়ার ফলেই এই সমস্যা বলে জানান, দেলোয়ার হোসেন মিদ্যা। তবে স্থানীয়দের দাবি জল বাড়তে থাকায় দুলতে থাকে বাঁশের সেতু। তারপরেই ভেসে যায়। ওই সময় কোনক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন পারাপার করতে থাকা বেশকিছু মানুষ।