বন্যার আশঙ্কার মধ্যেই লক্ষ্মী পুজোর আরাধনায় মগ্ন খালনা
কল্যাণ অধিকারী
ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যার আশঙ্কার মাঝে লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে উঠেছে লক্ষ্মী গ্রাম জয়পুরের খালনা। পুজোর আয়োজনে প্রতিটি ক্লাব থেকে বারোয়ারী ও বাড়ির গৃহকর্তারা। লক্ষ্মীপুজাকে ঘিরে এখন উৎসবের মেজাজ আমতা-২ ব্লকের খালনা।
দুর্গাপুজোর পর বাঙালির ঘরে এবার কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা। কাল সোমবার গোটা রাজ্যে লক্ষ্মীপূজা। জয়পুর থানার খালনায় পারিবারিক ও বারোয়ারি পুজো মিলিয়ে প্রায় শতাধিক লক্ষ্মীপুজো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ১৫৭ বর্ষে পদার্পণ করেছে কোহিনূর ক্লাবের পুজো। প্রতিবারই কিছু না কিছু চমক থাকে। মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। এ বছর থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতীয় সেনার বীরগাথা ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবার কলকাতার সীমানা পেরিয়ে পৌঁছেছে জেলার লক্ষ্মী পুজোর মণ্ডপে। অন্যদিকে, কৃষ্ণরায়তলার শতাব্দী প্রাচীন লক্ষ্মী পুজোর থিম ছত্রাক। এ বছর ১২৫ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে এখানকার লক্ষ্মী পুজো। মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের অপেক্ষায় দুই প্রাচীন ক্লাবের পুজো কমিটি।
খালনার এলাকার লক্ষ্মীপুজাকে ঘিরে এখন উৎসবের মেজাজ এলাকায়। খালনা আমরা সবাই, গড়ামোষতলা, খালনা পল্লি সংঘ ক্লাব, মিতালি সঙ্ঘ সর্বত্র শিল্পীদের চরম ব্যস্ততা। রবিবার দেখা গেল মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। শিল্পীরা অবশ্য জানালেন, দিন-রাত এক করে কাজ করছেন তাঁরা। সোমবার বেলাতেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে মন্ডপ ও প্রতিমা।
খালনা বাজার এলাকায় পুলিশের কন্ট্রোলরুম করা হয়। সেখানেও কাজ চলছে। পুজো চলাকালীন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে গ্রামীণ পুলিশের বিশাল বাহিনী। থাকবে দমকলের আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খালনা গ্রামজুড়ে প্রায় ৫০টির মতো ছোট-বড় পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারমধ্যে ২৫টি বারোয়ারি পুজো হচ্ছে। এছাড়াও দেড়শোর বেশি পারিবারিক পুজোও অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চালানো হবে। থাকবে মহিলা পুলিশ, র্যাফ সহ পুলিশের বিশাল বাহিনী। রবিবার বহু পুজোর উদ্বোধন। পুজোয় রাজ্যের মন্ত্রী থেকে সাংসদ, বিধায়ক উপস্থিত থাকবেন। এদিন বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান, “বছরভর খালনা গ্রামের লক্ষ্মীপুজোর দিকেই তাকিয়ে থাকেন গ্রামবাসীরা। বারোয়ারি পুজো থেকে বাড়িতে বাড়িতে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পুজোর দিনে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। প্রশাসন সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।