কুলিয়া সেতুর সরঞ্জাম এসে পৌছাল, খুশি বাসিন্দারা
কল্যাণ অধিকারী
কুলিয়া সেতু নির্মাণ শুরুর পথে! পড়লো মালপত্র ও সরঞ্জাম। এরপর থেকেই খুশির রোদ উঠেছে গ্রামীণ হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল বলে পরিচিত চিতনান-ভাটোরা এলাকায়।
হাওড়া জেলার একমাত্র দ্বীপাঞ্চল এলাকার বাসিন্দা প্রায় ৬০হাজার। রয়েছে স্কুল, গ্রামীণ চিকিৎসাকেন্দ্র। রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। সমস্যার একটাই সেতু না থাকায় যাতায়াত করতে ভরসা একমাত্র বাঁশের সেতু ও নৌকা। বাম জমানা থেকে কংক্রিটের সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন এখানকার বাসিন্দারা। হয়েছে শিলান্যাস। তারপরেও একটাও ইট গাঁথা হয়নি। দ্বীপাঞ্চলের বাসিন্দাদের দুর্দশার শেষ হতে চলেছে। এবার কংক্রিটের সেতু নির্মানের সরঞ্জাম এসে পৌঁছাতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিদ্যার কথায়, “দ্বীপাঞ্চলের মানুষের কথা মুখ্যমন্ত্রী ভাবেন। তাই এবার সেতু নির্মাণ হতে চলেছে। কুলিয়ায় বিভিন্ন সরঞ্জাম এসে পৌঁছাচ্ছে। মানুষের মধ্যে না পাওয়ার বেদনা এবার দূরে সরবে। সমস্তটাই মুখ্যমন্ত্রীর আশির্বাদ থাকায় সম্ভব হচ্ছে।
দির্ঘদিনের দাবি মিটতে চলায় খুশি আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। বাসিন্দাদের দাবি পূরণ করতে এগিয়ে আসা মন্ত্রী পুলক রায় খুশি। তাঁর দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কথা দিলে করে দেখান। কুলিয়া সেতু উনি বলেছিলেন করে দেবেন। সেইমতন এই মাসেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। অন্যদিকে সুকান্তর দাবি, ইতিমধ্যে জমিদাতাদের অনেকেই চেক নিয়েছেন। কাজ শুরু হলে বাকি সমস্ত কাজকর্ম মিটে যাবে।