নাছোড় বৃষ্টির মধ্যেই সেজে উঠছে লক্ষ্মী গ্রাম খালনা, প্রস্তুত প্রশাসন
কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ
শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হতেই বাঙালির ঘরে এবার কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা। আনন্দ মুখর উৎসবের রেশ জিইয়ে রেখে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মাততে চলেছে গ্রামীণ হাওড়ার জয়পুর থানার লক্ষ্মী গ্রাম খালনা।
বুধবার থেকে লক্ষ্মী পুজো শুরু। তিনদিন জেলার দেড় লক্ষাধিক দর্শনার্থীর ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠবে লক্ষ্মী গ্রাম। কিন্তু মঙ্গলবার দেখা গেল অর্ধেক বারোয়ারি পুজোর মন্ডপ সম্পূর্ণ হয়নি। শিশুদের মনরঞ্জনের কথা ভেবে মন্ডপ সাজানোর কাজ করছে খুদিরায়তলা কোহিনুর ক্লাব। দিন-রাত কাজ করছে তাঁরা। ৩৮ তম বর্ষে ইন্ডিয়া গেট বানাচ্ছে মিতালি সঙ্ঘ। মঙ্গলবার দেখা গেল মন্ডপ সজ্জার কাজ করতে ত্রিপলের ছাউনি করা হয়েছে। খালনা পল্লি সংঘ ক্লাব গ্রামের আদলে সুদৃশ্য মণ্ডপ গড়ে তুলছে। রঙ করার কাজ চলছে বৃষ্টির মধ্যেই। বাজার এলাকার একতা ক্লাবের মণ্ডপ সাজসজ্জা সম্পূর্ণ হয়নি। কালীমাতা তরুণ সঙ্ঘ, আমরা সকল সঙ্ঘ সহ প্রতিটি বারোয়ারী পুজোর মণ্ডপ সজ্জার শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে জোরকদমে।
উত্তর খালনায় পুলিশের কন্ট্রোলরুম করা হয়। সেখানেও কাজ চলছে। পুজো চলাকালীন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে গ্রামীণ পুলিশের বিশাল বাহিনী। থাকবে দমকলের আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে খালনা গ্রামজুড়ে প্রায় ৪০টির মতো ছোট-বড় পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চালানো হবে। থাকবে মহিলা পুলিশ, র্যাফ সহ পুলিশের বিশাল বাহিনী। নেতা-মন্ত্রীরা আসবেন।
জেলায় লক্ষীগ্রাম নামে পরিচিত আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের খালনা গ্রাম। পুজোয় থিম থেকে সাবেকিয়ানা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টায় উদ্যোক্তরা। মিতালি সংঘের উদ্যোক্তাদের কথায় ইন্ডিয়া গেট বানিয়ে এবছর নতুনত্বের ভাবনায়। বৃষ্টির জেরে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে তবে পুজো শুরুর আগে রাত জেগে সম্পূর্ণ করে ফেলা হবে। খালনা পল্লি সংঘ ক্লাবের সামনে মেলা বসে। মাঠ জল-কাদায় মাখামাখি। একি অবস্থা কালী তলায়। দোকান বসলেও কাদায় কীভাবে সাধারণ মানুষ আসবে সেটাই ভাবাচ্ছে বিকিকিনি করা বিক্রেতারা।