নেতাদের ভাষার ব্যবহারে যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন
কল্যাণ অধিকারী
রাজনৈতিক নেতাদের মুখের ভাষা ও আচরণ ভালো হওয়া প্রয়োজন। গ্রাম-বাংলা হোক বা শহুরে মানুষ প্রত্যেকের কাছে ওঁরা জননেতা। মানুষের দেওয়া ভোটে নেতারা পৌঁছে যান বিধানসভা বা লোকসভায়। এমন পবিত্র স্থানে দেশ ও দশের জন্য কাজ করা নেতারাই অন্যত্র ভাষার সৌজন্য হারাচ্ছেন।
আম-জনতার একাংশের কথায়, নেতারা মানুষের ভোটে বিবেচিত। কিন্তু যেমনটা ভাষার প্রয়োগ করা হচ্ছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের। ভাষা ব্যক্তিত্ব প্রকাশেরও মাধ্যম। কে বলেছে, কেন বলেছে সে-সব না ভেবে ভাষার ব্যবহার ও প্রয়োগে সংযত হওয়া দরকার আছে। রাজনৈতিক নেতাদের মুখের ভাষা কলতলার ভাষায় পৌঁছে যাচ্ছে। যা সমাজের জন্য সুখকর নয়। নতুনদের কাছে যা শিক্ষার তা এখন অসহনীয় হয়ে উঠছে।
নিজের ভাষা বাংলা হোক বা হিন্দি তার প্রতি সংযমের প্রয়োজন। নইলে কিন্তু পদের গরিমা হারায়। স্ল্যাং ভাষায় কথা বললে সামনের লোক দূরে সরে যাবে। কারণটা ওই একিই! ভাষার প্রতি সুপ্রসন্ন মনোভাব দরকার। কবি লিখেছেন, মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা! এটা ভুললে হবে না।
উল্লেখ্য, ২৪ ঘন্টা হয়নি। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে অশালীন শব্দের ব্যবহার করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যা নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়েছে বঙ্গে। ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা করছেন রাহুল গান্ধী। কদিন আগেই বঙ্গে এসেছেন তিনি। তাঁর যাত্রাপথ মসৃণ ছিল না বঙ্গে। তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না। এমন একটি সময় শুভেন্দুর করা একটি মন্তব্য ঘিরে শালীনতার পাঠ পড়িয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র।