দ্বীপাঞ্চলের মানুষদের বন্যা থেকে বাঁচাতে সেচ আধিকারিককে নিয়ে পরিদর্শনে বিধায়ক
কল্যাণ অধিকারী
গ্রামীণ হাওড়ার দ্বীপাঞ্চলের মানুষের জনজীবনে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে প্লাবন। বর্ষায় পূর্ণিমার কোটালে বাঁধ টপকে জল ঢুকে অথবা ভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয় ভাটোরা চিতনানের বিভিন্ন এলাকা। এবার নদী বাঁধ পোক্ত করতে দ্বীপাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা মঙ্গলবার সরজমিনে পরিদর্শন করলেন আমতার বিধায়ক ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার সহ একটি টিম।
দ্বীপাঞ্চলের চারদিকে মুন্ডেশ্বরী ও রূপনারায়ণ ঘিরে রেখেছে। বহু জায়গায় নদী বাঁধ দুর্বল। এবার সেই সমস্ত নদীবাঁধ কংক্রিটের করার কাজ শুরুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হল। জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রজেক্টে ফ্ল্যাড ম্যানেজমেন্ট এবং মেজর ইরিগেশনের প্রকল্পে কাজ চলছে আমতা বিধানসভার বিভিন্ন এলাকা সহ হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায়। ওই প্রজেক্টের মাধ্যমে দ্বীপাঞ্চলের নদী বাঁধের একটা বড় অংশ উঁচু করা ও ঢালাইয়ের মাধ্যমে পোক্ত করার কাজ যুক্তের বিষয়টি নিয়েই এদিন পরিদর্শন করা হয়।
রূপনারায়ণে যন্ত্রচালিত নৌকায় করে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ খতিয়ে দেখা হয়। ছিলেন সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশীষ সেনগুপ্ত। আমতা বিধানসভার বিধায়ক সুকান্ত পাল। ছিলেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। নৌকায় বসেই ভিডিওগ্রাফি করা হয়। প্রায় চার ঘন্টা এলাকায় পরিদর্শন করার পাশাপাশি একটি বৈঠক হয় এমনটা জানা গেছে।
সুকান্ত পাল জানান, “আমতার বন্যা নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে কাজ করেছেন তাতে করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। এবার দ্বীপাঞ্চলের সর্বত্র ওই প্রজেক্টে যুক্ত করে বন্যা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে ২লক্ষ কিউসেক জল ছাড়লেও দ্বীপাঞ্চল রক্ষা পাবে। একি সঙ্গে বাঁধে সুইচ গেট বসানো হবে। এতে করে কৃষকদের জমিতে জল দেওয়ার ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ হবে।”