দেউলটি স্টেশন হোক কথাশিল্পীর নামে প্রয়াণ দিবসে রেলকে ডেপুটেশন স্বজনের
কল্যাণ অধিকারী
দেউলটি স্টেশন থেকে কিছুটা দূরেই জেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের বাসস্থান। জীবনের শেষ ১২টি বছর তিনি এখানে ছিলেন। এবার দেউলটি স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে করার প্রস্তাব জানাল স্বজন।
রবিবার ছিল কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের প্রয়াণ দিবস। এই উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বজনের উদ্যোগে কথাশিল্পীর বসত বাড়িতে মাল্যদান করেন স্বজনের সদস্যরা। এরপর দেউলটি স্টেশনের নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে করার জন্য স্টেশন ম্যানেজারকে চিঠি দিলেন তাঁরা। স্টেশনের নাম বদলালে কবির প্রতি সম্মান বাড়বে বলেই মত তাঁদের।
এ প্রসঙ্গে বাগনানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বজনের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু জানান, “শরৎচন্দ্রের বাড়ি ঘিরে বহু আবেগ জড়িয়ে আছে সাহিত্য প্রেমী মানুষদের কাছে। বছরের প্রতিটি দিন বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন। দেউলটি স্টেশনে নেমে সামতাবেড় গ্রামে কথাশিল্পীর বাড়িতে যান। স্টেশনের নাম কথাশিল্পীর নামে হলে সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে বড় প্রাপ্তি হবে।” উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ অনেক আগেই দিল্লীর পার্লামেন্টে বক্তব্যে জানিয়েছেন। কিন্তু দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি এমনটাই জানান তিনি। এদিন দেউলটি স্টেশনের নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নামাঙ্কিত করার জন্য স্টেশন মাস্টারের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর শাখায় দেউলটি স্টেশনের নাম বদলানোর জন্য দিল্লিতে তদবির করেন সাংসদ সাজদা আহমেদ। তারপরেও সিদ্ধান্ত বদলায়নি রেল। এবার একি দাবি জানালেন স্বজনের সদস্যরা। রবিবার স্টেশন মাস্টারের কাছে ডেপুটেশন দিলেন মানস বসু , জয়া দাস ,সুমন চট্টোপাধ্যায় , সন্দীপ ঘোষ, চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়, শচীন ঘোষাল এবং স্বজনের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু।
