ময়নাগুড়ি ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা মনে করাচ্ছে অন্য ট্রেন দুর্ঘটনার কথা
রাজন্যা নিউজ ব্যুরো
২০১০ সালের ২৮ মে পশ্চিম মেদিনীপুরে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও অনেকে ভুলতে পারেন না। ময়নাগুড়ির কাছে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর অনেকেই সেদিনের জ্ঞানেশ্বরী ঘটনার কথা বলছেন। একটি সূত্রের খবর বৃহস্পতিবারের ঘটনায় প্রায় ১২টি কামরা দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। আহতের সংখ্যা বহু। উদ্ধারকার্যে প্রথম থেকে তদারকি ক্মরছে রাজ্য সরকার। রাতেই হাওড়া থেকে বিশেষ ট্রেনে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এতকিছুর পরেও প্রশ্ন উঠছে চালকের ভুল? নাকি রদ্দি কোচ!
যাত্রীদের একাংশ জানিয়েছেন, দোমহনী স্টেশন পেরোনোর সময় গতি ছিল ৯০এর কাছাকাছি। তার কিছু সময় পরেই বিকট আওয়াজ করে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। এখনো পর্যন্ত ৫জনের মৃত্যুর কথা সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৫২। রেল তদন্ত করে দেখছে ঠিক কি কারণ ছিল দুর্ঘটনা ঘটার পিছনে। লাইনের ত্রুটি থাকার কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু এলএইচবি কোচ ট্রেনটিতে ছিল না ফলে পুরনো কোচ নিয়েই ছুটছিল ট্রেনটি। সেক্ষেত্রে গতি একটা ফ্যাক্টর হতে পারে এমনটা মনে করছেন রেলের আধিকারিকদের একাংশ এমনটাই সূত্রের খবর।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে সঠিক সময়েই রওনা দেয় ১৫৬৩৩ আপ বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। বিকেল ৫টার সময় দুর্ঘটনায় পরে ট্রেনটি। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি তখনি জানতে পারেন। এরপর মমতার কাছ থেকেই রেল দুর্ঘটনার খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী এমনটাই জানা গেছে। ঘটনার সমস্তটা নবান্ন থেকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুততার সঙ্গে এ্যাম্বুলেন্স, মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে।