বন সহায়ক পদে কারসাজি! মুখ্যমন্ত্রীর আতস কাঁচে রাজীব
কল্যাণ অধিকারী, কলকাতা
হাইলাইটস
❏ বন সহায়ক পদে দুর্নীতির অভিযোগ সদ্য দলত্যাগী রাজীবের দিকে
❏ তদন্ত শুরু করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
❏ চুপ থাকেননি, তৃণমূলের নেতাদের তথ্য রয়েছে পাল্টা রাজীব
অচেনা রাজীবকে ডোমজুড় থেকে এনে বিধায়ক করেছিলেন। সেচমন্ত্রী ও পরে বনমন্ত্রীর দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেসব এখন অতীত। আর বর্তমান হল দলত্যাগী হয়ে এখন বিজেপির সদস্য রাজীব। সেই রাজীবের আমলে বন দফতরের সহায়ক পদে-ই কারসাজি হয়েছে! বুধবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে কর্মিসভা থেকে এমনটাই অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বনাঞ্চলে বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ মমতার কানে পৌঁছেছে। বিধানসভা ভোটের মুখে গত শনিবার চাটার্ড বিমানে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তী, পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন রাজীব। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে, দুয়ারে সরকার নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগতে শুরু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে অভিযোগ শুনে চুপ থাকেননি রাজীব। হুগলির গুড়াপের সভা থেকে জবাবে বলেছেন তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে। কিন্তু কী সেই তথ্য?
জানা যাচ্ছে, বন সহায়ক পদে চাকরির জন্য তৃণমূলের উঁচু পদে থাকা নেতাদের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে ফোন এসেছিল! সেই সমস্ত রেকর্ড রয়েছে। এমনকি বীরভূমের এক বড় নেতাও ফোন করেছিলেন বলে গুড়াফের সভা থেকে জানিয়েছেন তিনি! এতদিন পর সমস্তটা সামনে আসতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ডোমজুড় বিধানসভার তৃণমূলের একাংশ। গত শনিবার অমিত শাহ’র পাঠানো চ্যাটার্ড বিমানে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই ডোমজুড় বিধানসভা এলাকায় একি অভিযোগ করে তৃণমূলের একাংশ। নিজের অনুগামীদের বিভিন্ন পদে কাজ দিয়েছেন তিনি! গদ্দার, মীরজাফর বলে পোস্টার মারা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ শিলিগুড়িতে গিয়ে বেঙ্গল সাফারি পার্কে একটি বৈঠক করেছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন ৫০০-৭০০ কর্মী নিয়োগ হবে বন দফতরে। যার মধ্যে রয়েছে রেঞ্জার থেকে ফরেস্ট গার্ড পদ। এরপর বন সহায়ক পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে বন দফতর। আশার আলো দেখেছিল বহু বেকার যুবক। সেই নিয়োগ নিয়েই জল ঘোলা শুরু হল বুধবার থেকে। এখন দেখার কেঁচো খুড়তে গিয়ে রাজনৈতিক কেউটে বের হয় কি-না।
ছবি সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া।
গ্রাফিক রাজন্যা।