শীতে এমন বৃষ্টি দেখেনি অনেক কৃষক

কল্যাণ অধিকারী

তিনদিনের একটানা নিম্নচাপের বৃষ্টিতে নাজেহাল গ্রাম-বাংলার কৃষকরা। বিঘের পর বিঘে জমির ধান, আলু জলে নষ্ট হবার জোগার। কীভাবে খরচ উঠবে ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। চোখের সামনে সমস্ত ফসল নষ্ট হতে বসেছে। মাথায় হাত কৃষকদের। জমি থেকে জল না নামলে আলু চাষের বিপুল ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা।

উদয়নারায়ণপুরের আলু চাষিরা বুঝে উঠতে পারছে না এ কেমন বিপদের সম্মুখীন তাঁরা। দুবার বন্যায় ডুবেছে জমির ফসল। এবার শীতল অগ্রহায়ণে একটানা বৃষ্টিতে জমির আলুর বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন তাঁরা। জল না নামা অবধি জমি চাষযোগ্য করা যাচ্ছে না। ফলে পুনরায় আলু বসাতে দেরি হতে পারে কমপক্ষে দশ দিন। এতে করে আলু চাষের ভালো ফলন নাও হতে পারে আশঙ্কা কৃষকদের। শীতকালে এত বৃষ্টি এর আগে দেখেননি বলে দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।

সোমবারও আকাশ পুরোপুরি কাটেনি। মেঘাছন্ন থাকায় রোদ বের হয়নি বললেই চলে। জমির জল শুকোতে চাইছে না। খটখটে রোদ না ওঠা অবধি সমস্যার সুরাহা হবে না। কৃষি দপ্তর মাঠে নেমে কৃষকদের বোঝাচ্ছেন। এখনও আগের ক্ষতির টাকা সরকার থেকে মেলেনি। আবারো জমি ডুবে যাওয়ায় নালা কেটে বহু কৃষক জমির জমা জল বের করবার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তাঁরা। এরপরেও যদি বৃষ্টি হয় তাহলে সব যাবে জানান কৃষকরা।

আমতা-২ ব্লক এলাকার কৃষক ভীম অধিকারী জানান, জমির কাটা ধান জলে ভাসছে। এর আগে বন্যায় জমির ধান নষ্ট হয়। এবার পাকা ধান জলে ভাসছে। শুকনো জায়গায় রাখার জায়গা নেই। ফলে ধানে কলা এসে যাবার সম্ভাবনা। আরও এক কৃষকের কথায়, আগের টাকাই পাইনি। আবার ডুবল ফসল। এভাবে শুধুই খরচ হচ্ছে, ফসল উঠছে না ঘরে। কৃষকদের পাসে রয়েছে সরকার জানান ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা। কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *