উন্নয়নের মধ্য দিয়েই অপপ্রচারের জবাব কংক্রিটের সেতু উদ্বোধনে বোঝালেন মন্ত্রী-বিধায়করা
কল্যাণ অধিকারী
বিরোধীদের কুৎসার জবাব উন্নয়নের মাধ্যমে দিতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। তার আরও এক চিত্র উঠে আসলো আমতা বিধানসভা এলাকায়। বাইনান এলাকায় তিন কোটি টাকা ব্যায়ে গাইঘাটা খালের ওপর কংক্রিটের সেতু বানিয়ে দিল প্রশাসন। শারদ উৎসবের প্রাক্কালে বাইনান ও কড়িয়া এলাকার ৫-৬ হাজার মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারদ উপহার দিলেন, জানালেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।
বাইনানের বাঁকুড়া গ্রামের সঙ্গে কড়িয়া গ্রামের সংযোগকারী গাইঘাটা খালের ওপর কংক্রিটের সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় বছর দুয়েক আগে। তিন কোটি টাকা ব্যায়ে সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়। বুধবার উদ্বোধনে আসেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন চলছে তাই বেলা ১১টা নাগাদ উদ্বোধনের কথা ছিল। মন্ত্রীর কনভয় পৌঁছানোর আগেই হাজারো গ্রামবাসী ভিড় জমান। নতুন সেতু পেয়ে খুশির সীমানা ছিল না। ফিতে কেটে সেতুর উদ্বোধন করেন সেচমন্ত্রী প্রার্থ ভৌমিক। ছিলেন সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, আমতা বিধানসভার বিধায়ক সুকান্ত পাল, বাগনান বিধানসভার বিধায়ক অরুণাভ সেন।
বাঁকুড়া ও কড়িয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সামনে রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক জানান, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় মানুষ কি চাইছে এবং মানুষের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিয়েছেন, প্রাধান্য দিয়েছেন। মানুষের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে সেতুর নির্মাণ করেছেন। আজকে তার শুভ উদ্বোধন হল। এটা শারদ উৎসবের প্রাক্কালে এই অঞ্চলের সমস্ত মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারদ উপহার।”
প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের গ্রাম সারদা থেকে প্রায় দু কিমি দূরে গাইঘাটা খালের ওপর সেতুটির উদ্বোধনে বুধবার আসেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। ছিলেন আমতা ও বাগনান বিধানসভার দুই বিধায়ক। বাগনান-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন দাস। বাইনান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাপস হাজরা। এলাকাবাসীদের দাবি মেনে গাইঘাটা খালের ওপর সেতুর নির্মাণ করা হয়। পাঁচ থেকে ছয় হাজার গ্রামবাসীর সুবিধা হবে। বিভেদ নয়, উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের পাশে সর্বদা রয়েছে সরকার বোঝানোর চেষ্টা করলেন বিধায়ক সহ আধিকারিকরা।