শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন মন্ত্রী, বিধায়করা

কল্যাণ অধিকারী

দু’বছর পর কলকাতায় অনুষ্ঠিত হবে তৃণমূলের একুশের জুলাইয়ের শহিদ দিবসের সমাবেশ। সেই সমাবেশের প্রচারে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কর্মসূচি পালন করছেন বিধায়করা। সমাবেশে যত বেশি সংখ্যক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়া, অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের আরো কাছে পৌঁছে যাওয়া। এটাই তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে এবারের একুশের মঞ্চ তৃণমূলের প্রকাশ্য শহিদ দিবসের বড় সমাবেশ। এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে শহিদ সমাবেশ হয়েছিল ভার্চুয়ালি। ফলে এবার ধর্মতলা চত্বরে বিরাট জনসমাবেশ হতে চলেছে। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের গ্রামীণ এলাকা ও উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারকে পাখির চোখ করা হচ্ছে। এইসমস্ত এলাকার কর্মী-সমর্থকদের কলকাতায় নিয়ে আসার জন্য ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেইমতন বিধায়কদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্লক স্তরে কর্মসূচি করে কর্মী-সমর্থকদের কাছে পৌঁছে যাওয়া।

হাওড়া গ্রামীণ এলাকার উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর, বাগনান, আমতা, উদয়নারায়ণপুর বিধানসভা এলাকার বিধায়করা প্রায় নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছেন। পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় নিজেও যোগ দিচ্ছেন। বাগনান খালোড়ে কমিউনিটি হলে তৃণমূলের প্রস্তুতি সভায় হাজির ছিলেন বিধায়ক অরুনাভ সেন। ভাটোরায় কর্মসূচি করেছেন আমতা বিধানসভার বিধায়ক সুকান্ত পাল। বাগনানে একুশে জুলাইয়ের সভায় হাজির ছিলেন মন্ত্রী পুলক রায়, বিধায়ক বিদেশ বসু, অরুনাভ সেন। শ্যামপুরে কর্মসূচি পালন করেছেন বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল। উদয়নারায়ণপুরে কর্মসূচি করেছেন বিধায়ক নির্মল মাজি। আমতায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন বিধায়ক নির্মল মাজি। একুশের শহিদ দিবসের সভামঞ্চ থেকে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য কর্মী-সমর্থকদের সামনে থেকে শোনার মধ্য দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট ও ২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে দলকে জাগ্রত করতে চাইছে তৃণমূল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *