নদী পথে রূপনারায়ণের বাঁধের ভাঙ্গন ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে বিধায়ক সুকান্ত পাল
কল্যাণ অধিকারী
শনিবার গ্রামীণ হাওড়ার জিবি চিতনান এলাকায় রূপনারায়ণের নদী পথে বাঁধের ভাঙ্গন পরিদর্শন করলেন আমতা বিধানসভার বিধায়ক সুকান্ত পাল। ইয়াসের প্রভাব ও পূর্ণিমার কোটালে লাগাতার বৃষ্টির কারণে সংশ্লিষ্ট জিবি চিতনান এলাকায় রূপনারায়ণ নদীর বাঁধের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এবং এর ফলে জল ঢুকে গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবিয়ে দেয়। চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয় স্থানীয়দের। বহু পরিবার এই পরিস্থিতিতে এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।

ইঞ্জিন দেওয়া নৌকায় চেপে বাকসি, চিতনান, ভাটোরা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিদর্শন করেন। এরপর গ্রামের ভিতর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে যান। সঙ্গে ছিলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিদ্যা, ছিলেন জিবি চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সাবিনা বেগম। তাঁদের সঙ্গে বিষদে আলোচনা করেন তিনি। কয়েক মাস আগে থেকেই রূপনারায়ণের বাঁধের একাংশে মাটি ফেলে শক্তপোক্ত করার কাজ শুরু করেছে আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতি। রূপনারায়ণ ও মুণ্ডেশ্বরী নদীর সংযোগস্থল হওয়ায় জোয়ারের জলের স্রোত ধাক্কা খেয়ে মাটির বাঁধ ভেঙে যায়। বোল্ডার ফেলে কীভাবে শক্তপোক্ত করা যায় সমস্তটা সরজমিনে খতিয়ে দেখেন বিধায়ক।

এদিন এই পরিদর্শনের পর বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, ‘নদী বাঁধের দুর্বল অংশগুলোকে বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বোল্ডার পাথরের সাহায্যে বাঁধ নির্মাণ করা নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। গ্রামের ভিতর যে সমস্ত এলাকার ক্যালভাট, ঢালাই রাস্তা ভেঙে গিয়েছে তাও দ্রুত সারাইয়ের কাজ করা হবে। কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নথিভুক্ত করা হচ্ছে। আমরা বুধবার দিনভর ও রাতেও এলাকায় ছিলাম। প্রতিদিন এলাকায় এসে নজরে রাখছি। এ ব্যাপারে সেচ দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি। চিতনান বাসীর সমস্যার সমাধান নিশ্চিতভাবে করা হবে।