দমদম জেলের মাঠে পার্থ-বালুর দুর্নীতি নিয়ে টিএমসিকে তোপ মোদির

কল্যাণ অধিকারী

অপরাধ ও দুর্নীতি থেকে মুখ সরিয়ে বাংলার মানুষ উন্নয়ন চায়। কলকাতা মেট্রোর তিনটি রুট-সহ একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনে এসে নতুন বাংলার গড়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর মুখে। মঞ্চে তখন দিলীপ বাদে রাজ্য বিজেপির প্রায় সব মুখ উপস্থিত। আগত জনতার দিকে তাকিয়ে মোদির সাফ জবাব, টিএমসি যাবে! তবেই আসল পরিবর্তন আসবে! গেরুয়া ফেট্টি কপালে বেঁধে মোদির সভায় আসা মানুষজন চিৎকার করে সম্মত দিলেন। কিন্তু ২৬-এ কি টিএমসি যাবে দিনের শেষে এ প্রশ্ন নিয়েই ঘরমুখি হলেন উপস্থিত জনতা।

বিহারের গয়ায় মোদি সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে জানিয়ে আসেন ‘জামিন না পেলে তাঁকে গদি ছাড়তে হবে’। তিনি আরও বলেন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আরজেডি, কংগ্রেস, বাম-সহ মহাগঠবন্ধন জোট। কলকাতায় ফিরে দমদম সেন্ট্রাল জেলের সভামঞ্চ থেকে একিভাবে সরব হলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলায় সংবিধান সংশোধনী বিল কে বিরোধিতা করছে টিএমসি। কারণটা ওঁদের এক মন্ত্রী শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আজও জেলে রয়েছেন। তৃণমূলের অন্য এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তিনিও চেয়ার ছাড়তে রাজি ছিলেন না। এমন লোক যারা মানুষকে প্রতারণা করেছে, তাদের সরকারি পদে থাকার অধিকার কি আছে জনতার উদ্দেশ্যে এভাবেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।  

শুক্রবার জেলের মাঠে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের মন্ত্রীদের জেল যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদলের অপরাধ ও দুর্নীতি কে জনতার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন। তখন জনতার মধ্যে ফিসফিসানি, টাকা তো শুভেন্দুও কাগজে মুড়ে নিয়েছিল! স্বচ্ছতার দাবি করা প্রধানমন্ত্রী কেন তাঁকে দলে নিলেন? যদিও ততক্ষণে পরিবর্তনের স্লোগান বেঁধে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির সুরে সুর মেলাচ্ছেন জনতা। গত লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে প্রায় প্রতিটি জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী স্লোগান দেন, ‘অব কি বার ৪০০ পার’। আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, ইস বার পগার পার। বিজেপি ৪০০ পার করতে পারেনি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোদি।

দমদম এলাকার বিজেপির একাংশের দাবি জ্যোতিপ্রিয় জামিনে ছাড়া পেলেও পার্থ এখনও জেলে। তাঁরা পদত্যাগ করেননি। মানুষের কাছে স্বচ্ছ দেখাতে সেইসময় পার্থকে সাসপেন্ড করেছিল তৃণমূল। জামিন পেলে পার্থকে মালা পরিয়ে কাছে টেনে নেবে তৃণমূল। ওঁদের কাছে রাজ্যের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আগে নয়, অপরাধ ও দুর্নীতি কে প্রাধান্য দেওয়াই অগ্রাধিকার দেওয়া। তাই তো জেলের মাঠ থেকেই তৃণমূলের জেল খাটাদের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *