দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি হবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, বললেন মোদি
ব্যুরো রিপোর্ট রাজন্যা নিউজ
সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সদর দফতর কলকাতার বিজয় দুর্গে অর্থাৎ ফোর্ট উইলিয়াম সোমবার ১৬তম সম্মিলিত সেনা সম্মেলন (সিসিসি) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘অপারেশন সিন্দুরে’র পর এটিই প্রথম সম্মিলিত সেনা সম্মেলন। শেষ সম্মিলিত সেনা সম্মলেন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালে ভোপালে।
সূত্রের খবর, সেনার আধুনিকীকরণ থেকে সংস্কারের কথা এদিন শোনা যায় মোদির মুখে। সঙ্গে লক্ষ্য স্থির হয়েছে ‘ইন্ডিয়ান আর্মড ফোর্স ভিশন ২০৪৭’-র
এদিকে ফোর্ট উইলিয়াম সূত্রে খবর, ভাষণে মোদির মুখে শোনা গিয়েছে সেনার প্রশংসা। অপারেশন সিঁদুরের সময় যেভাবে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের নাস্তানাবুদ করেছে ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী, তাতে খুশি প্রধানমন্ত্রী। সেনার রণকৌশল প্রসন্ন করেছে তাঁকে। তবে এই প্রশংসা মোদির ভাষণের একটা ছোট্ট অংশ। আত্মমুগ্ধতা নয়, বরং পরিবর্তনেই জোর দিয়েছেন তিনি। তাঁর গোটা ভাষণ জুড়ে জায়গা পেয়েছে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ, সংস্কার এবং রণকৌশলে আমূল উন্নয়নের কথা। মোদি বলেছেন, আজকের দিনে যুদ্ধ শুধু সীমান্তে গুলি চালনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং প্রযুক্তি, কৌশল এবং উদ্ভাবনের ওপরও নির্ভর করছে। তাই ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে জয়েন্টনেস বা যৌথ কার্যক্ষমতা আরও জোরদার করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে দেশিয় প্রযুক্তি ও শিল্পকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
সেনার আধুনিকীকরণ যাতে কোনও ভাবে শ্লথ না হয়ে পড়ে সেনাকর্তাদের সেই দিকে মন দিতে বলেছেন তিনি। নির্দেশ দিয়েছেন, ভারতীয় সেনার কাছে যে পরিমাণে যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ রয়েছে, তা বৃদ্ধিরও। পাশাপাশি, ড্রোন প্রযুক্তি ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কথাও উঠে এসেছে তাঁর ভাষণে।
পাশাপাশি সেনার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও। নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি ধ্বংস করার জন্যও সেনার প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে এর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘একাধিক কৌশলগত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাহিনী আধুনিকীকরণ, যৌথতা, সংহতকরণ এবং বহু-ক্ষেত্রে যুদ্ধের জন্য কার্যকরী প্রস্তুতি বৃদ্ধি।’
সোমবারের এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান, প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং এবং সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা।