উলুবেড়িয়া জোড়া কলতলায় অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মা ও মেয়ের মৃত্যু, রণক্ষেত্র এলাকা
কল্যাণ অধিকারী
উলুবেড়িয়ার জগৎপুর জোড়া কলতলায় মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন মা। তখনি দ্রুত গতিতে আসা অ্যাম্বুলেন্স মা ও মেয়ে দুজনকে পিষে দেয়। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। শনিবার এই ঘটনায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। মানুষের রোষ গিয়ে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটির ওপর। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়কে বসে পড়ে দীর্ঘ সময় পথ অবরোধ করেন কয়েকশো গ্রামবাসী। জানা গেছে, মৃতদের নাম মা অপর্ণা পাড়াল বয়স ৪০ ও মেয়ে টুসু পাড়াল বয়স ১০।
ঘটনার পরপরেই হাওড়া জেলার গ্রামীণ পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে যায়। অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন উলুবেড়িয়া থানার আইসি, রাজাপুর থানার ওসি, এসডিপিও। তবে জাতীয় সড়ক মুক্ত করতে চার ঘন্টারও বেশি সময় লেগে যায়। এর জেরে যানজট ছড়িয়ে পড়ে প্রায় চার কিলোমিটার। জাতীয় সড়কে যানজটের জেরে দুর্ভোগে পড়েন সাধারন যাত্রীরা। সপ্তাহের শেষ দিন বহু মানুষ সময়মতন কাজে পৌঁছাতে পারেননি। দমকলের একটি গাড়ি এসে জ্বলন্ত অ্যাম্বুলেন্সটি নেভায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মা অপর্ণা পাড়াল মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বেড়িয়েছিলেন। জোড়া কলতলার কাছে রাস্তার ধারে অপেক্ষা করছিলেন। তখনি ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ততক্ষণে চালক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ছুটে আসেন এলাকার মানুষজন। খবর যায় মৃতের পরিবারে। ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। জাতীয় সড়ক আটকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মানুষজন। এরপর পুলিশ আসলে ও বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে চাইলে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। আগুন লাগিয়ে দেয় অ্যাম্বুলেন্সটিতে। পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর দাবি ওঠে।
প্রায় চার ঘন্টা পর অবরোধ ওঠে। ততক্ষণে দুদিকেই চার কিমি অবধি যানজটের সৃষ্টি হয়। কলকাতায় চিকিৎসার উদ্দেশে যাওয়া রোগী ও তাঁদের পরিবার বিভিন্ন অ্যাম্বুলেন্সে আটকা পড়ে। অবরোধ উঠলেও যান চলাচল স্বাভাবিক হতে বিকেল গড়িয়ে যায়।