‘লিংকম্যান’ হবেন মুকুল রায় আশাবাদী দলত্যাগীরা
কল্যাণ অধিকারী
তিন থেকে সাতাত্তর হয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের বদলে মিলেছে বিরোধী দলনেতার চেয়ার। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে বিজেপিতে দলীয় কোন্দল। রাজীব থেকে শুরু করে কাকলী, শুভ্রাংশু একের পর এক মন্তব্যে জেরবার দল। কীভাবে প্রতিপক্ষকে আটকে দলকে এককাট্টা করে লড়াইয়ের ময়দানে নামাবেন চলছে দিল্লিতে আলাপ-আলোচনা। তার মধ্যেই বঙ্গ বিজেপিকে খাদের কিনারায় ঠেলে দিয়ে শুক্রবার সরাসরি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন সপুত্র মুকুল রায়। এরপরেই আশার আলো দেখছেন চার্টার্ড বিমানে দিল্লি গিয়ে শাহী-যোগের কুশীলবরা।
দাদা মুকুল রায় তাঁদের ফিরিয়ে আনবেন। তাঁর প্রতি আস্থা রেখেই দলত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। ‘মীরজাফর’, ‘গদ্দার’ কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তৃণমূলের কাছ থেকে। বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে ভূপতিত হয়েছেন তাঁরা। সোশাল মাধ্যমের মধ্য দিয়ে ফিরে আসতে পুরনো দলকে বার্তা দিয়েছেন রাজীব, কাকলী, প্রবীররা। দল সেইভাবে সাড়া দেয়নি। ফলাফল ঘোষণার চল্লিশ দিনের মাথায় মুকুল রায় পুত্রকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে। মুকুলের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেবেন মমতা এমনটাই সূত্রের খবর। এই খবরে খুশি ফুটেছে রাজীব-প্রবীরদের মুখে।
সূত্রের খবর, সপুত্র মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে ফেরাবেন তিনি এমনটাই মনে করছেন রাজীবের অনুগামীরা। মুকুলে আস্থা রেখেই তাঁরা দল বদলেছিল। এবার মুকুলের হাত ধরেই আবারও ফিরবেন তৃণমূলে। কারণটা স্পষ্ট, ‘লিংকম্যান’ মুকুল তিন বছর ৯ মাস পর বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে। আর দাদা নেতৃত্বকে বললে ‘না’ বলতে পারবেন না। ফলে মুকুলের ‘ঘর ওয়াপসি’ তে আশার আলো দেখছেন চার্টার্ড বিমানে দিল্লি গিয়ে শাহী-যোগের কুশীলবরা।
ছবি সংগৃহীত।