পুজোয় দিঘা-মন্দারমণিতে পর্যটক টানতে নয়া উদ্যোগ

রাজন্যা নিউজ ব্যুরো

যে যতই ডায়েট করুক না কেন পুজোর সময় জিভ যেন সব কিছুই চাই। রোল থেকে চাউমিন বা ভরপুর বাঙালিয়ানায় ভরা লুচি-ছোলার ডাল সব খেতেই যেন মন চায়। এবার দিঘাতে হচ্ছে দারুণ ব্যবস্থা। পুজোর সময় তো অনেকেই বেড়াতে যান। তারা তখন দুর্গাপুজো মিস করেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এ বার দিঘা, মন্দারমণির হোটেলগুলি দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে। দিঘাতে যদিও অনেক দুর্গাপুজো হয়, কিন্তু মন্দারমণিতে আগে সেভাবে পুজো হত না। অন্তত সমুদ্র নিকটবর্তী এলাকায় দুর্গাপুজো হয়নি কোনওদিনই। এই বছর ঘটতে চলে ব্যতিক্রমী ঘটনা। চলতি বছর হোটেল কর্তৃপক্ষ পুজোর আয়োজন করেছেন। আসলে দিনে দিনে মন্দারমণিতে ভিড় বাড়িছে। আগে কজন আর জানত মন্দারমণির নাম, ইদানিং সময়ে বহু মানুষ চেনেন, জানেন। বছরের বিভিন্ন সময় দু’দিনের জন্য ছুটি কাটাতে আসেন। পুজোর সময়ও অন্যথা হয় না। এই সময়েও ভিড় লেগে থাকে। একই অবস্থা দিঘারও। এখন তো সেখানে আবার জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়েছে। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো যে সব পর্যটক অর্থ, শারীরিক বা সময়াভাবে পুরী যেতে পারেন না তারা নীলমাধব দর্শনে আসেন দিঘাতে। তাই দিঘাতে আগেও ভিড় হত, এখন আরও বেড়েছে বই কমেনি। তাই হোটেল কর্মীদের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্যও চলতি বছর পুজোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনকী হোম স্টেগুলিতেও পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত দশমীর দিন থেকে মোটামুটিভাবে দিঘা, মন্দারমনিতে ভিড় বাড়ত। সময় বদলিয়েছে, পাল্টে গিয়েছে চিত্রটাও। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখন চতুর্থী থেকেই ভিড় হয়। তাই পর্যটকরা যখন পুজোটা সমুদ্রের পাড়ে বসেই কাটাতে চান তখন তাঁদের জন্য রাখা হয় মনের মতো রান্না। শারদোৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। তাই এই সময়ের মেনুতে ও পরিবর্তন আনা হয়। বাঙালি খাবারের আমিষ নিরামিষ নানা পদ তৈরি করা হয়। পর্যটকরা বেড়াতে এসে বারোয়ারি পুজোগুলিতেও ঠাকুর দেখতে যান। পাঞ্চেতগড় ও মহিষাদল রাজবাড়ির হোম স্টে-তে এ বছর দুর্গাপুজো হচ্ছে। থাকছে দারুণ সব খাব্বারের মেনু। অষ্টমীর দিন আশপাশের পুজো মণ্ডপে অঞ্জলি দেওয়ার পরে পর্যটকরা চাইলেই লুচি, ছোলার ডাল, বেগুন ভাজা, লাবড়া, পনিরের নানা পছন্দের নিরামিষ পদ খেতে পারবেন। যারা আমিষ খান তাঁদের জন্যও থাকবে সুস্বাদু সব পদ। পর্যটকরা বেড়াতে এসে যাতে পুজোর আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্যই দিঘা ও মন্দারমণির অনেক হোটেলেই দুর্গাপুজো শুরু করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সন্ধ্যাবেলা থাকবে সাংßৃñতিক আড্ডা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *