ডাক্তার হোক মেয়ে ইচ্ছে বাবা-মায়ের, মেয়ের স্বপ্ন ইসরোয় গবেষণা শেষে আত্মঘাতী মেধাবী ছাত্রী

রাজন্যা নিউজ ব্যুরো

ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রী দীপশিখা। স্বপ্ন দেখতেন গবেষক হওয়ার। এমনকী ইসরোর মহাকাশ গবেষণাতে সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু বাবা-মা চান, মেয়ে পড়ুক ডাক্তারি। আর তা নিয়ে মাঝে মধ্যেই পরিবারের সঙ্গে মতবিরোধ লেগেই থাকত দীপশিখার। নিট পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেও ডাক্তার হতে চাননি তিনি।মানসিক চাপ থেকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তমলুকের ছাত্রী।

পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন মেধাবী দীপশিখা। মঙ্গলবার সকালে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, রাগে-অভিমানে সম্ভবত আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই মেধাবী ছাত্রী। যদিও অন্য কোনও কারণ আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবার। মৃতের বাবা জানিয়েছেন, সোমবার রাতেও কথা হয়েছিল। ডাক্তারি পড়ার পর ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে সংশয় ছিল। “মেয়ে যে এমন সিদ্ধান্ত নেবে তা ভাবতেও পারিনি”, বলছেন শোকার্ত বাবা।

মঙ্গলবার রাত তিনটার সময় রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপরে ময়নাতদন্তের জন্য তার দেহ নিয়ে আসা হয় তমলুক মেডিকেল কলেজে। সেখানেই মেধাবী ছাত্রীর দেহের ময়না তদন্ত হয়।মেধাবী পড়ুয়ার বাবার আফসোস একটাই মনের মধ্যে মেয়ের এত অভিমান ছিল তা সে বুঝতে দেয়নি। গোটা পরিবার শোকে ভেঙে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *