এই স্টেশনে একমাত্র দেখা মেলে বাংলায় প্ল্যাটফর্ম নম্বর ও স্টেশনের নাম
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
স্টেশনে হিন্দি, ইংরেজি থাকলেও বাংলায় প্ল্যাটফর্ম নম্বর লেখা দেখা মেলে না। কিন্তু দক্ষিণ -পূর্ব রেলের এই স্টেশন আসলে এখনো দেখা মেলে বাংলায় লেখা প্ল্যাটফর্ম নম্বর। বাংলা ভাষা ব্যবহার হোক চাইছে বাঙালিরা। এমন একটি সময় স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম নম্বর দশকের পর দশক বাংলায়। যা দেখে খুশি হন ট্রেন যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষজন।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-আমতা শাখায় ডোমজুড় স্টেশন। হাওড়া থেকে দশ জোড়া লোকাল এই লাইনে প্রত্যহ চলাচল করে। সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন চলাচল করলেও এই স্টেশনেই রয়েছে ক্রসিং। দুটি লাইন থাকার কারণে রয়েছে দু’টি প্ল্যাটফর্ম। যথাক্রমে ১ ও ২। বাংলা হরফে লেখা। ট্রেন আসার ঘোষণা হয় বাংলায়। প্ল্যাটফর্ম জুড়ে সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা। প্ল্যাটফর্মের নাম থেকে প্ল্যাটফর্ম নম্বর এবং ট্রেনের ঘোষণা বাংলায় হওয়ায় ট্রেন যাত্রী থেকে গ্রামের মানুষজন প্রত্যেকের সুবিধা হয় বিস্তর।
জানা যায় ১৯৮৪ সালে সাঁতরাগাছি জংশন ডোমজুড় পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তারপর তা বড়গাছিয়া অবধি সম্প্রসারিত হয়। পরে মহেন্দ্রলাল নগর অবধি ঠেকে। ২০০৪ সালে এই শাখার প্রান্তিক স্টেশন হয় আমতা। তবে এখনো ডোমজুড় স্টেশনের কদর থেকে গেছে আগের মতন। একমাত্রা বালটিকুরি থেকে ছেড়ে একাধিক স্টেশন পেরিয়ে এসে প্রথম ক্রসিং ডোমজুড়ে।
সৌরভ কোলে, অতনু মজুমদার সহ একাধিক যাত্রীদের কথায়, ডোমজুড় স্টেশনে এখনো দেখা মেলে বাংলায় লেখা প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১ ও ২। ঘোষণাও হয় বাংলায়। আমরা বাঙালি বাংলা ভাষা নিয়ে গর্ববোধ করি। ভারতীয় রেল বাংলায় লেখাটা রাখায় আমরা অত্যন্ত খুশি। অন্ততপক্ষে একটা স্টেশন তো রয়েছে যেখানে মেলে স্টেশনের বোর্ড, প্ল্যাটফর্মের নম্বর থেকে ঘোষণা সবটাই বাংলায়। যা বাঙালি হিসাবে গর্বের।