দানা’র প্রভাবে মুশুলধারায় বৃষ্টি পাকা ধান নষ্টের সম্ভাবনা
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
ঘূর্ণিঝড় দানা’র তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেয়েছে হাওড়া-সহ পশ্চিমবঙ্গ। তবে বিকেল পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিতে কার্যত জনজীবন গৃহবন্দী। হাওড়ার গাদিয়াড়া, রূপনারায়ণ নদীর পাড়ের দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা চিতনান বাসিন্দারা ঝড় না হওয়ায় স্বস্তি পেলেও বহু জায়গায় পাকা ধান নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন গ্রামবাসীরা। হাওড়া শহরের বহু ওয়ার্ডে জল জমেছে। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয়বাবু জানিয়েছেন জমা জল নামাতে তিনটি বড়ো পাম্প সহ মোট ৭০টি পাম্প চালানো হচ্ছে।
রাতভর নবান্নে থেকে দানা ঘূর্ণিঝড় মনিটারিং করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ভোররাত থেকে হাওড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি শুরু হয়। সময় যত এগিয়েছে ততই বৃষ্টি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাকসি বাজারের সামনে রূপনারায়ণ নদীর জল কিছুটা বেড়েছে। এলাকার মানুষজন মূলত মৎস্যজীবী। নৌকায় করে মাছ ধরেই জীবনধারণ করেন। আয়লা, আমফান, রিমেলের স্মৃতি এখনও টাটকা। ঘূর্ণিঝড় না হলেও দুর্যোগের বৃষ্টির জেরে নাজেহাল অবস্থা। নদীতে মাছধরা বন্ধ।
শনিবার আবহাওয়ার বদল হওয়ার সম্ভাবনা কম মনে করছেন বিশ্বনাথ মাঝী। মাঝীমাল্লারা নদীর রূপ দেখলেই বুঝতে পারেন। মানকুর ধর্মতলায় একটি ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। অন্যদিকে আবহাওয়ার এই পরিবর্তন প্রভাব পড়ছে ধান চাষে। আমতা বাগনান শ্যামপুর উলুবেড়িয়া এলাকায় জমির পাকা ধান ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির জেরে নষ্ট হওয়ার আশংকা।
হাওড়ার জমা জল নিয়ে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, আগামী কয়েক ঘন্টায় ভারী বৃষ্টিপাত না হলে হাওড়া শহরের জমা জল দ্রুত নেমে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করলেন তিনি। ঘূর্ণিঝড়ে তেমন কোনও প্রভাব না পড়লেও এর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে যে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে সেই কারণে হাওড়ার বেশ কিছু ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪৩ নং ওয়ার্ড, বেনারস রোড, রামরাজাতলা, টিকিয়াপাড়ার মতো কিছু এলাকা। ভারী বৃষ্টিপাত না হলে শুক্রবার রাতের মধ্যেই বেশিরভাগ এলাকার জল বের করে দেওয়া সম্ভব হবে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, হাওড়া পুর এলাকায় বাড়ি ভেঙে পড়া, গাছ ভেঙে পড়া বা বড়ো কোনও বিপর্যয়ের খবর নেই। মধ্য হাওড়ায় একটি বাড়ির সামান্য কিছু অংশের ক্ষতি হলেও বড়ো কোনও বিপর্যয় হয়নি। জমা জল নামাতে তিনটি বড়ো পাম্প সহ মোট ৭০টি পাম্প চালানো হচ্ছে বলে সুজয়বাবু এদিন দাবি করেন।