প্রস্তুতি তুঙ্গে লাখো মানুষের সমাগমের অপেক্ষায় খালনা গ্রাম
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
হাওড়ার আমতা বিধানসভার জয়পুরের খালনা গ্রাম। অনেকে এই গ্রামকে লক্ষ্মী গ্রাম বলেই চেনেন। দুর্গা পুজোর বিজয়ার পরেই এই গ্রামে লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে একাধিক বারোয়ারি ক্লাব। আগামীকাল বুধবার লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে উঠবে এলাকার মানুষজন। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। তার আগে মঙ্গলবার খালনায় বাড়ির পুজো থেকে বারোয়ারি সর্বত্র প্রস্তুতি তুঙ্গে।
বাগনান থেকে জয়পুর বাসে পৌঁছে যাওয়া যায় খালনায়। প্রথমেই চোখ পড়বে ক্ষুদিরায়তলার মণ্ডপে। অসাধারণ মন্ডপ সজ্জা ও প্রতিমা দেখতে ভিড় জমান হাজারো মানুষজন। ১৫৮ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে এখানকার মণ্ডপ। এর পাশাপাশি খালনা কৃষ্ণরায়তলা, পল্লি সঙ্ঘ, কোহিনূর ক্লাব, মিতালি সংঘের মতো বারোয়ারি পুজোর সর্বত্র দেখা মিলল শেষ মুহূর্তের তুলির টান চলছে। পশ্চিম খালনা চারুময়ী লক্ষ্মী মন্দির এবছর ১৬০ বছরে পদার্পণ করেছে। সদস্যদের কথায়, দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে নজরকাড়া মন্ডপ সজ্জা এবং প্রতিমা করা হয়েছে। সকলের মন ছুঁয়ে যাবে।
আমতা-২ ব্লক এবং জয়পুর থানা সূত্রে জানা গেছে, খালনা গ্রামে লক্ষ্মী পুজোয় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং পুজো দেখতে আসা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা, পুলিশ, মহিলা পুলিশ, র্যাফ, ফায়ার ব্রিগেড, এ্যাম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়া সমস্ত পুজো উদ্যোক্তাদের একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, খালনার লক্ষ্মী পুজো জেলা তথা রাজ্যের মধ্যে অন্যতম। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। তারজন্য সুবন্দোবস্ত করতে প্রশাসন সমস্তরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পুজো কমিটির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রশাসনিক প্রস্তুতি বৈঠক করা হয়েছে। এখানে পুলিশ ক্যাম্প ছাড়াও থাকে মেডিক্যাল টিম।
সংগৃহীত ছবি