প্রধানমন্ত্রীর মুখে ‘সিঁদুর’ ও শাসকের ‘দুর্নীতি’ স্বমহিমায় বিরাজমান, পাল্টা কটাক্ষ উত্তরের শাসক দলের নেতারা

কল্যাণ অধিকারী ও ব্যুরো রিপোর্ট

দিদিকে নাম করে আক্রমণ করলেন না। তবে তাঁর দলের দুর্নীতিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন। পাশাপাশি বিরোধীদের ধরাশায়ী করতে ‘সিঁদুর’ শব্দ কে আঁকড়ে ধরছেন প্রধানমন্ত্রী। হেলিকপ্টার কোচবিহার ছাড়তেই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা শাসক দলের। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে “অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গ বহুবার এসেছে। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেছেন ‘অপারেশন পশ্চিমবঙ্গ’ চালানোর কথা। তাঁদের কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কালই ভোট করুন। অপারেশন বাংলার জন্য তৈরি আছি।

আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে জনসভা মঞ্চ থেকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আক্রমণাত্মক। বাংলা দখলের লড়াইয়ে ঝাঁপানোর জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিলেন। বিজেপির উত্তরবঙ্গের নেতাদের একাংশের কথায়, রাজ্যে বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে আক্রমণের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখানে শাসক দলের ছত্রে ছত্রে দুর্নীতি। সব খবর রাখেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুধু একটি বক্তব্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রচারে ব্যবহার করতে পারেন না। উনি হয়তো ভুলে গেছেন বর্ডারে থাকা সেনারা লড়াইটা লড়েছেন। কিন্তু উনি সিঁদুর শব্দ ব্যবহার করে বিরোধীদের চমকানোর চেষ্টা করছেন! আর দুর্নীতি? পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নেতা তো দুর্নীতির সঙ্গে বেশি যুক্ত। তাঁর সঙ্গে এদিন একি মঞ্চে তো ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর বিমান বাগডোগরা ছোঁয়ার আগে থেকেই গরমাগরম মন্তব্য রেখেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘আগে কেউ চায়ের ব্যবসা করতেন, এখন সিঁদুরের ব্যবসা’! তৃণমূল প্রথম থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছে। তাঁদের দাবি, দেশের স্বার্থ যাথে জড়িত তা নিয়ে প্রচার করাটা কেন প্রয়োজন পড়ছে প্রধানন্ত্রীর তা উনিই বলতে পারবেন। উনি জানেন বাংলায় বিজেপির জনসমর্থন তলানিতে। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে পারেনি। তাছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর লবি কোনঠাসা করে দিয়েছে দিলীপ ঘোষের মতো নেতাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *