গর্বের বঙ্গসন্তান! অমিতে মজেছে খিলা গ্রাম

কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ

গ্রামের ছেলে চন্দ্রযান অভিযানে যুক্ত ঘোর কাটছে না গ্রামের। খিলা গ্রামের অমিত ইসরোর অন্যতম সদস্য তা অনেকেই জানতো। তবে, চন্দ্রযান অভিযান সফল হতেই গ্রামের ছেলের কথা মুখে মুখে ছড়িয়েছে। আদ্যপ্রান্ত গ্রামের নাম বদলে অমিতের গ্রাম নামেই বেশি পরিচয় ছড়িয়েছে।

উদয়নারায়ণপুর ব্লকের খিলা গ্রাম। ১৯৪৮ সালে বাঙালি উদ্যোগপতি আলামোহন দাশ গোপীমোহন শিক্ষা সদন স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত করেন। ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র অমিত মাজি। স্কুল ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৯৬ সালে মাধ্যমিক ও ৯৮ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য বেলুড় বিদ্যামন্দির যান। সেখান থেকে পদার্থ বিদ্যায় অনার্স পাশ করেন। ২০০১ সালে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে বিটেক পড়া শুরু করেন। ২০০৬ সালে ইসরোর পদস্থ পদে যোগ দেন।

চাঁদের কুমেরু জয় সফল হতেই খিলার অমিত রাতারাতি শিরোনামে। গ্রামের আট থেকে আশি সকলে এক নিমেষে ওঁর বাড়ি দেখিয়ে দিল। খিলা গ্রামের বাড়িতে অমিত থাকে না। চাকরি সূত্রে পরিবার নিয়ে থাকেন বেঙ্গালুরুতে। তবে নিয়মিত না হলেও গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। অজিত, সৌপর্ণ্য, সুকদেব প্রত্যেকেই গোপীমোহন শিক্ষা সদন স্কুলের পড়ুয়া। শুক্রবার বেলায় সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়ার বিষয় প্রধানশিক্ষক অনুপকুমার বেড়া স্কুলের বর্তমান দের শুনিয়েছেন। ওঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। সুকদেবের বাবা জনমজুর। মাঝেমধ্যে জাল ফেলে দামোদর থেকে মাছ ধরে। বাবার সঙ্গে সঙ্গ দেয় সুকদেব। টিভিতে দেখেছিল কিভাবে চন্দ্রযান পাড়ি দিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের মাটিতে নেমেছে ল্যান্ডার বিক্রম। তা সম্ভব হয়েছে আমাদের অমিত দাদাদের জন্য। দাদা কোনদিন গ্রামে আসলে মালা পড়ানোর ইচ্ছে রয়েছে।

এ গ্রামের মেয়ে সুমিত্রা। এ বছর উদয়নারায়ণপুর কলেজে বাংলা নিয়ে ভর্তি হয়েছে। দাদার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে। ও একা নয় গ্রামের প্রায় প্রত্যেকের মুখেই একটাই কথা ‘অমিত দা গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করেছে। খিলা গ্রামের মানুষজন আজও উন্নয়নের সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসেনি। তবে গ্রামের ছেলের দৃষ্টান্ত খিলা গ্রামের পরিচয় তুলে ধরেছে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *