২৪-এর মধ্যে হাওড়া জেলার প্রতিটি ঘরে পরিশ্রুত পানীয়জল! জানান মন্ত্রী পুলক রায়
কল্যাণ অধিকারী
বাড়িতে-বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয়জল নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন ভারপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। শনিবার জয়পুর থানার খালনায় বিজয়ী সম্মেলনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানেই জানান ২০২৪ সালের মধ্যে হাওড়া জেলার প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যাবে পরিশ্রুত পানীয়জল!
আমতা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের আয়োজনে বিজয়ী সম্মেলন ছিল শনিবার। উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ হাওড়ার একাধিক বিধায়ক, মন্ত্রী। সেখানেই পরিশ্রুত পানীয়জল সরবরাহ নিয়ে মন্ত্রী পুলক রায় জানান, “হাওড়া জেলায় ২০২৪ সালের মধ্যে এমন কোন বাড়ি থাকবে না যেখানে পরিশ্রুত পানীয়জন পৌঁছে যাবে না। প্রতি বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয়জল।” এরপর তিনি বলেন “আমি মন্ত্রীর চেয়ে সব থেকে বড় তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের একজন সদস্য। আপনাদেরও পরিবারের একজন সদস্য। আমাদের সকলের কাছে একজন ‘রাজা’ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা সবাই রাজা রাজার রাজত্বে।”
তিনি আরও বলেন, “পঞ্চায়েতের যে দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন আমি চেষ্টা করব শহর ও গ্রাম আলাদা বলে কিছু থাকবে না। গ্রাম আর শহরের মধ্যে
ভারসাম্য করাব। যাতে করে গ্রাম এলাকার উন্নয়ন হয়। আমাদের দেশে ৭০ শতাংশ গ্রামের মানুষ। শহরে গিয়ে উপকার নেওয়ার প্রয়োজন নেই। গ্রামে বসেই পরিষেবা পাবেন সেই নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করব।” এর পাশাপাশি আমতা বিধানসভার জন্য থিম সং খালনায় উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী পুলক রায়, বিধায়ক সুকান্ত পাল, অরূনাভ সেন, শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। আমতার নদ-নদী,কৃষ্টি-সংস্কৃতি নিয়ে এই থিম সঙ্গ। সুর দিয়েছেন নচিকেতা চক্রবর্তী।
মন্ত্রী পুলক রায় ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অরুণাভ সেন সভাপতি হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। সমীর পাঁজা চেয়ারম্যান হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। ছিলেন বিধায়ক প্রিয়া পাল, বিধায়ক বিদেশ বসু। পৌরহিত্য করেন আমতা বিধানসভার বিধায়ক সুকান্ত পাল।