হাজার মাইল দূরের বিরল লাইকোডন জারা সাপ উদ্ধার হল গ্রামীণ হাওড়ায়
কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ
গ্রামীণ হাওড়ার আমতার উদংয়ে লোকালয়ে দেখা মিলল বিরল লাইকোডন জারা সাপ। এমন ঘটনায় হতবাক সর্প বিশারদরা। কীভাবে অসম, অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্যে বসবার করা সাপ হাজার মাইল পার করে চলে আসছে খোঁজখবর করতেই উঠে আসছে গভীর এক তথ্য।
শুক্রবার আমতা থানার উদং গ্রামের প্রসেনজিৎ কর্মচারীদের বাড়ির প্রবেশের সিঁড়িতে উঠে পড়েছিল সাপটি। লম্বায় প্রায় দেড়ফুট। গায়ের রঙ দেখে চমকে যায় বাড়ির লোকজন। সবুজ রঙের ওপর কালো ডোরাকাটা। মাথার কাছে হলুদ-সবুজ মিশ্রণ। দ্রুত ফোন করেন পরিবেশ কর্মীদের। তাঁরা এসে পর্যবেক্ষণ করে ও সর্প বিশারদদের কাছ থেকে জানতে পারেন সাপটি লাইকোডন জারা সাপ। যেহেতু জেলায় এই সাপের দেখা মেলে না ফলে আঞ্চলিক নাম নেই। পরিবেশ কর্মী প্রদীপ রঞ্জন রীত বাড়ির গৃহকর্তাকে সাপটির বিষয় বোঝায়। তিনি জানান, এটি অতি বিরল সাপ। গ্রামের মানুষদের তিনি সাপটি সম্পর্কে সচেতন করেন। এরপর সাপটিকে গ্রীন চেন মুভমেন্ট এর দপ্তরে এনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
সপর্বন্ধু অনির্বাণ সেনাপতি জানান, “সাপটির ইংরেজি নাম টুইন স্পটেড উল্ফ্ স্নেক। এর আগে উদং-এর পাশের গ্রাম সোনামুই এলাকায় উদ্ধার করা হয়েছিল। এরা একদমই বিষহীন সাপ। কামড়ায় না। খাদ্যের তালিকায় ছোট ছোট পোকা ও ব্যাঙাচি। এরা যখন পূর্ণ বয়স্ক হয় তখন লম্বায় দেড় ফুট হয়। অন্যান্য সাপেদের থেকে এর চলার গতিও কম। প্রকৃতির ভারসাম্য ক্রমশ নষ্ট হচ্ছে। এই কারণেই হাজার মাইল দূরের সাপ গ্রামীণ হাওড়ায় দেখা মিলছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। নইলে অনেক কিছুরই বদল চলে আসবে।”