সংহতি যাত্রায় মন্ত্রী-বিধায়কদের সঙ্গে ধর্ম গুরুরা। বিভেদের রাজনীতির জবাব বলছে তৃণমূল
কল্যাণ অধিকারী
অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনেই সম্প্রীতির বার্তা দিতে কলকাতায় সংহতি যাত্রায় পা মেলান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সময়েই হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে সংহতি যাত্রায় পা দেন তাঁর মন্ত্রী সভার বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী থেকে বিধায়ক। ছিলেন হাজারো সাধারণ মানুষজন। তবে রাম মন্দির উদ্বোধন মঞ্চ বিজেপি ব্যবহার করছে এমনটা বোঝাতে ও সাম্প্রদায়িক মেলবন্ধন ঘটাতে ধর্ম গুরুদের সঙ্গে নিয়ে সংহতি যাত্রায় তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়ক।
হাওড়া শিবপুর ট্রাম ডিপো থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত সংহতি যাত্রার শুভ সূচনা করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্ম গুরুরা। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিতেই এদিনের মিছিলের ডাক দিয়েছেন নেত্রী। সেইমতন হাওড়ায় মিছিলের আয়োজন করা হয় বলে জানান মন্ত্রী। এর কিছু সময় পরেই উলুবেড়িয়ার ৫৮ গেট এলাকায় সংহতি যাত্রা শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বার্থ দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। মিছিলের পথ দেখিয়ে এগিয়ে চলেন পুলক রায়। আমতা বিধানসভার কল্যাণপুর থেকে আরও একটি সংহতি যাত্রার সূচনা করেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। সাবসিটের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে এদিনের মিছিল। মিছিলে যোগ দেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। মিছিল যত এগিয়েছে ভিড়ের বহর বেড়েছে।
তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, সংহতি যাত্রার মধ্য দিয়ে বিজেপির বিভেদের রাজনীতির জবাব দিয়েছে জনতা। লোকসভা ভোটের আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সমস্ত লুক নিজের দিকে টেনেছেন, এমন একটি সময় দেশের মানুষের কাছে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছে তৃণমূল নেত্রী। সমস্ত ধর্মের মেলবন্ধন ছিল মিছিলে। মন্ত্রী ও বিধায়ক প্রত্যেকেই জানান, সম্প্রীতির বার্তা তুলে ধরতেই সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দেখানো পথেই পা মিলিয়েছে রাজ্যের হাজার-হাজার মানুষজন। উলুবেড়িয়া, আমতা, শিবপুর সব জায়গায় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতন। যা বিভেদের রাজনীতির জবাব!