সন্দেশখালির ঘটনায় চুপ বুদ্ধিদ্বীপ্ত মানুষজন! প্রশ্ন উঠছে
কল্যাণ অধিকারী ও ব্যুরো রিপোর্ট
সময়ের সঙ্গেই কি ‘শিল্পীদের’ চলার পথ পরিবর্তন হচ্ছে? সন্দেশখালির মতো ঘটনার পরেও চুপ রাজ্যের বুদ্ধিদ্বীপ্ত মানুষজন! এরপরেই ওঁদের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে! অনেকেই মনে করেন রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণেই মুখ খুলতে চাইছেন না বুদ্ধিদ্বীপ্ত মানুষজন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বামে হোক বা ডানে কোন সময় কোন রাস্তায় চললে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হবে বেশ ভালো রকম বোঝেন। এখানেই শেষ নয়! বাক্য ব্যয় করলে অযথা বিপদে পড়বেন তাই আর কি চুপ করে থাকেন। তারপর! তার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ‘কুমিরের কান্না’ কাঁদেন। ভাবছেন কি? এমনি-এমনি উঁচু পদে বসার সুযোগ পান! ওঁরা উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি এবং প্রচুর জ্ঞানের অধিকারী। দশদিকে কড়া নজর! মোদ্দা কথা, ‘তেল মেরে’ সমাজের মধ্যে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখেন। উচ্চশিক্ষিত বুদ্ধিদ্বীপ্ত মানুষজন এমনটাই হয় বোধহয়? জানা নেই!
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম ও নেতাই পর্ব পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রাজ্যের বুদ্ধিদ্বীপ্ত মানুষজন। পথে নেমে যৌথ আন্দোলন দেখে মানুষজন প্রতিবাদের সুর খুঁজে পেয়েছিল। তারপর দেড় দশকের বেশি সময় পেরিয়েছে। কামদুনি-আনিস কান্ড সহ একাধিক ঘটনায় বিব্রত হয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সাম্প্রতিক সন্দেশখালি কান্ডে এখনো সেই অর্থে রা কারেনি বুদ্ধিদ্বীপ্ত মানুষজন। এমনটা কেন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
সন্দেশখালিতে লাঠিশোঠা নিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ দেখেছে রাজ্য। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সন্দেশখালির মহিলারা। ইতিমধ্যে দুদিনের সফরে রাজ্য সফরে আসতে চলেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা এমনটাই সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। তবে সন্দেশখালিকে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের সঙ্গে মেলাতে চাইছে না রাজ্যের শাসক দল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর, রাজ্যকে বদনাম করানোর চেষ্টা চলছে। সন্দেশখালিতে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে তা এলাকার ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে। কিন্তু সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম যে গণ আন্দোলন হয়, তা হয়েছিল সরকারের বিরুদ্ধে।