গরমে ছুটি পেলেই ডেস্টিনেশন হোক শৈলশহর দার্জিলিং

কল্যাণ অধিকারী, এডিটর, রাজন্যা নিউজ

দক্ষিণবঙ্গে কিছুদিন পর থেকেই দাবদাহ শুরুর সম্ভাবনা। হাতে ক’টাদিনের ছুটি পেলেই ঘুরে আসার চিন্তাভাবনা থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পছন্দের স্থান হতে পারে উত্তরের দার্জিলিং। পাহাড় দেখার পাশাপাশি রোমাঞ্চকর কিছু অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করেন। দার্জিলিং গেলে নতুন কোন কোন স্থান ঘুরে দেখবেন, কোন হোটেলে উঠবেন? সমস্তটাই দেওয়া হল।

চিত্র পায়েল দাস মন্ডল।

দার্জিলিং গেলে অনেকেই চিন্তাভাবনা করেন ম্যালের কাছেই হোটেল নেওয়ার। হোটেলের রুম থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ দেখার আনন্দই আলাদা। তবে এরজন্য পকেট মানি একটু বেশিই খরচ করতে হয়। ম্যাল ও চৌরাস্তা এলাকায় হোটেল রুম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পেতে গেলে ৩হাজার টাকা থেকে শুরু। নন ভিউ ২হাজারের কাছাকাছি। লুনার হোটেল দেখতে পারেন। কুঙ্গা রেস্টুরেন্টের উপর হোটেলের অবস্থান।

চিত্র পায়েল দাস মন্ডল।

সাইট সিনের জন্য গাড়ি কম টাকায় পেতে কি করবেন! ম্যালের পাশেই ট্যাক্সি স্ট্যান্ড রয়েছে। সন্ধের দিকে পৌঁছে যান। পরেরদিনের সাইট সিনের জন্য দরাদরি করে গাড়ি ভাড়া করে নেবেন। টাইগারহিল, চিড়িয়াখানা, মিউজিয়াম, দার্জিলিং রোপওয়ে, চা বাগান, রক ক্লাইম্বিং বাতাসিয়া লুপ, রক গার্ডেন, জাপানি টেম্পল। সমস্তটা ঘুরতে চার হাজার টাকার মতন পড়বে। আর যদি টাইগার হিল এবং রক গার্ডেন বাদ দেন সেক্ষেত্রে পড়বে ২হাজারের মতন।

চিত্র পায়েল দাস মন্ডল।

দার্জিলিং-এর কাছেই কিছুটা অফবিট ডেস্টিনেশন দাওয়াইপানি। দার্জিলিং শহর থেকে ২০ কিমি দূরে অবস্থান। সাজানো-গোছানো গ্রামে আপনাদের স্বাগত জানাতে এখানকার বাসিন্দারা সর্বদা প্রস্তুত থাকেন। এখানে পৌঁছে আপনার যেটা চোখ টানবে তা অবশ্যই কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ। এখানেই শেষ নয় পার্শবর্তী তুষারাবৃত পাহাড় চূড়া আপনার অপেক্ষায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে। থাকার জন্য রয়েছে হোমস্টে। থাকতে পারেন বীরেনস হোমস্টে, রোভার্স হোমস্টে।

চিত্র পায়েল দাস মন্ডল।

ঝটপট টিকিট কেটে নিন। কারণটা গরমের সময় ট্রেনের টিকিটের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। ইচ্ছে করলে বাইক নিয়েও ঘুরে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে বাড়তি কিছু দরকারি জিনিষপত্র ও মানসিক বিষয়টা অগ্রাধিকার দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *