দরজা বন্ধ করে রেখেছি, খুলে দিলে বিজেপি পার্টি উঠে যাবে, নিশানা কাকে করলেন অভিষেক?
কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ
ভবানীপুরের উপনির্বাচনের সঙ্গেই ৩০ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলার শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর দুই আসনে বিধানসভা নির্বাচন। বৃহস্পতিবার ভোট প্রচারে আসলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদে কিছুটা হলেও প্রভাব রয়েছে কংগ্রেসের। ওই জেলার দুই আসনের ভোট প্রচারে কংগ্রেস-সিপিএম এবং বিজেপিকে এক আসনে রেখে অল আউট আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’।
কংগ্রেসের দুর্ভেদ্য ঘাঁটিগুলির মধ্যে অন্যতম মুর্শিদাবাদ। এই জেলার বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। বছরভর গঙ্গা ভাঙনে আতঙ্কে থাকেন জেলার বাসিন্দারা। জেলা কংগ্রেসেও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। কে যে কবে দল ছাড়বে এই আশঙ্কায় কংগ্রেস শিবির। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরাক্কার পাঁচবারের বিধায়ক মইনুল হক তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর যেভাবে মঞ্চ থেকে অভিষেক একের পর এক নিশানা করে গেলেন তাতে করে শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর দুই আসনের নির্বাচনের আগে অনেকটাই চাপ বাড়লো কংগ্রেসের।
বিজেপির সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রাখে কংগ্রেস! অভিষেকের একের পর এক তীর অধীর সাম্রাজ্যের অবসান ঘটানোর পূর্ব সংকেত দিয়ে রাখলেন। এখন থেকেই ২৪-এর লোকসভা ভোটে বহরমপুর আসনে জয়ের কথা শুনিয়ে গেলেন তিনি। এর আগেও অধীর কে হারাতে চেষ্টার কসুর করেনি জোড়াফুল শিবির। ১৯-এর লোকসভা ভোটে বহরমপুরে হুঙ্কার দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বহরমপুর কেন্দ্রে অধীর চৌধুরীকে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। শেষপর্যন্ত অধীরকে হারাতে পারেননি। রাজনীতিও ছাড়েননি শুভেন্দু। তবে দল পাল্টে নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। এখন বিরোধী দলনেতা তিনি।
বহরমপুরের সাংসদ কে হারানোর কথা বলে প্রকারন্তরে শুভেন্দুকেই নিশানা করলেন অভিষেক। ৮০ হাজার ভোট লোকসভা কেন্দ্রে খুব বড় ব্যবধান নয়। তা যদি তৃণমূল উতরে যায় সেক্ষেত্রে ‘ভাইপোর’ কাছে রাজনৈতিক লড়াইয়ে পরাস্ত হবেন কাঁথির অধিকারী বাড়ির মেজ ছেলে। তাঁকে আক্রমণ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন অভিষেক। এদিন তিনি বলেন ‘দরজা খুলে দিলে বিজেপি পার্টি উঠে যাবে’ তাঁর এমন মন্তব্য বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের দলে ফেরানোর কথা শুনিয়ে দিলেন। সেক্ষেত্রে কে কে আসতে চাইছেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিজেপির বড় মাপের এক নেতা তৃণমূলে ফিরতে জোরদার আলোচনা চালাচ্ছেন। তৃণমূলের প্রথম সারির এক মন্ত্রীর মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন তিনি। তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হতে পারে জল্পনা তুঙ্গে।
ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত।