ঘুষখোর শুভেন্দু! কুলতলির মেগা সভা থেকে প্রমাণ দিলেন অভিষেক
কল্যাণ অধিকারী, কুলতলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
হাইলাইটস
❏ সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠি পড়ে শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার প্রমাণ দিলেন
❏ বাড়িতে ৫জন সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলর পরিবারতন্ত্রে শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ দিলেন চ্যালেঞ্জ
❏ ‘দিলীপ ঘোষ গুণ্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত মঞ্চ থেকে বললেন অভিষেক
একুশের বিধানসভা ভোটে শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর ‘কাটে কি টক্কর’ হতে চলেছে। রবিবার দুপুরে কুলতলির মেগা সভামঞ্চ থেকে পূর্ব সঙ্কেত দিলেন সর্বভারতীয় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির জামতলা পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন মাঠে অভিষেকের সভায় তখন মানুষের থিকথিকে ভিড়। সকলেরই নজর মঞ্চের দিকে। অভিষেকের প্রতিটা কথা যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতে ব্যস্ত লাখো জনতা। টিভি ক্যামেরায় লাইভ দেখানো হচ্ছে। এমন একটা মঞ্চকে খুঁজছিলেন তিনি। দীর্ঘ সাতাশ-আঠাশ মিনিট বক্তব্যে একাধিক নথি পড়ে-পড়ে ‘ঘুষখোর শুভেন্দু অধিকারী’ প্রমাণ তুলে ধরলেন!

মাইক হাতে বক্তব্যের শুরু করেন ‘যতই নাড়ো কলকাঠি নবান্নে আবার হাওয়াই চটি’ স্লোগান দিয়ে। এরপর যত সময় গিয়েছে আক্রমণের ধার বেড়েছে। একুশের লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না হুঙ্কার দিলেন। তাঁর লক্ষ্য যে শুভেন্দু এবং বিজেপি তা প্রতি ছত্রে ধরা দিয়েছে। এদিনের জনসভায় প্রতিটি মুহূর্তে ‘আত্মবিশ্বাসী’ দেখাল অভিষেককে। তিনি বলেন, শুভেন্দু মেরুদণ্ড বিক্রি করে দিয়েছে। টিভিতে নারদ ফুটেজে টাকা নিতে তোমায় দেখা গিয়েছে। সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে তোমায় ৬কোটি টাকা নেওয়ার কথা লিখেছে। তিনি যে দিন রাজ্য ছাড়লেন তার আগের রাতে তুমি তাঁর অফিসে গিয়ে টাকা নিয়েছ। এ কথা আমি বলছি না চিঠিতে লিখেছেন সুদীপ্ত সেন নিজে। তুমি বলছ তোলাবাজ ভাইপো। জনতার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলে তাহলে আপনারা বলুন তোলাবাজ কে? সমস্বরে জবাব আসে শুভেন্দু।’
এরপরেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় দের বহিরাগত বলে তোপ দাগলেন। তিনি বলেন, ‘পরিবারতন্ত্র বলছে আপনারা বলুন একটি পরিবারের পাঁচজন সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলর। তাহলে পরিবার তন্ত্র কাদের। এরপরেই চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন আমার নাম বলতে ভয়। ভাইপো না বলে আমার নাম নিন। আমি তো তোমাদের নাম বলছি ঘুষখোর শুভেন্দু। টিভিতে দেখা গেছে টাকা নিয়েছ তুমি। সুদীপ্ত সেনকে ব্ল্যাকমেল করেছ তুমি। আমি তো প্রমাণ দিলাম। তুমি পারবে আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে? তোলাবাজ এখন সাধু হবার চেষ্টা করছে। এরপর আর এককদম এগিয়ে বলেন দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। আর তুমি ঘুষখোর। আর একজন তিন বছর পর ঘুম ভেঙেছে। উনি বলছেন আমাকে জিতিয়েছেন? আপনি দল ছেড়েছেন এবার আপনাকে দেখে মানুষ তৃণমূল কে ভোট দেবে।
লাখো মানুষের কাছে তিনি বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩১ এ ৩১ করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। দীর্ঘ বক্তৃতায় একটি বারের জন্যও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেননি। তবে তিনি বলেছেন, একটা দুটো যেতে চাইছে তাঁদের তাড়িয়ে দিন আপনারা জনতার উদ্দেশ্যে বলেন।
চিত্র সংগৃহীত।