রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে সারদা গ্রামে ঢুকতেই দিলেন না গ্রামবাসীদের একাংশ
কল্যাণ অধিকারী
বগটুই কান্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এরপর থেকেই মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের গ্রাম আমতার সারদায় গ্রামবাসীদের একাংশ সিবিআই তদন্তের দাবিতে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। শুক্রবার বিকেলে রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে গ্রামে ঢুকতেই দিলেন না তাঁরা। আওয়াজ তুললেন এতদিন পর মনে পড়লো দেখতে আসার।
শুক্রবার মৃত ছাত্রনেতা আনিসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কথা বলেন সালেম খানের সঙ্গে। এরপর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সারদা থেকে একটি পদযাত্রা শুরু হয়। ওই পদযাত্রায় পা মেলানোর জন্য সালেম খানকে আমন্ত্রণ জানান অধীর। তাঁর কথামতো পদযাত্রা এলাকায় গেলেও মিনিট খানেক থেকেই ফিরে আসেন সালেম খান এমনটাই জানা গেছে। দুপুরে সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়ায় পৌঁছে যান পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। আনিসের বাড়ির কাছেই স্মরণসভা করেন আব্বাস। ছিলেন কাশেম সিদ্দিকীও।
শুক্রবার বিকেলে সারদা গ্রামে আসছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এখবর জানাজানি হতেই আনিসের বাড়ি থেকে প্রায় দু কিমি দূরে সারদা সীমানাগোড়ায় পৌঁছে যান বেশকিছু গ্রামবাসী। মন্ত্রীর কনভয় আসতেই বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে দেন তাঁরা। গাড়ি থেকে নেমে আসেন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়। তাঁরা সালেম খানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও দুই মন্ত্রীর কথা কর্ণপাত করেনি কেউ। একপ্রকার বাধ্য হয়েই ফিরে যান তাঁরা। আনিস কান্ডের পরেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়। কিন্তু এদিন ফিরহাদ হাকিম আসছে শুনেই ক্ষ্রিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীদের একাংশ। কেন এতদিন আসেননি এই দাবি করেন তাঁরা।
আনিসের মৃত্যুর তদন্ত করুক সিবিআই প্রথম থেকে এই দাবি জানিয়ে আসছেন সালেম খান সহ পরিবারের লোকজন। কিন্তু তদন্ত করছে সিট-এর সদস্যরা। এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন এক সিভিক এবং এক হোমগার্ড। ওসিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার বা তদন্ত কোন পথে এগোচ্ছে জানতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। এতে করেই ক্ষোভ বাড়ছিল। এরমধ্যেই শুক্রবার বগটুই কান্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতেই ফের দাবি উঠছে সিবিআই তদন্ত হোক আনিস কান্ডেও।