বিহারে প্রচারে ঝড় তুলতে আসছেন সনিয়া-রাহুল, প্রিয়াঙ্কা

রাজন্যা নিউজ ব্যুরো

বুধবার থেকে বিহারে প্রচার শুরু করছেন সনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধি। এছাড়া প্রথম দফা নির্বাচনের আগে জনসভা করবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও। মঙ্গলবার এ খবর সামনে আসতেই চাঙ্গা কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। কিছুদিন আগেই বিহারে দুটি নির্বাচনী জনসভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও সভা করেছেন এবং এই দুই নেতা ক’দিনের মধ্যে আরও কয়েকটি সভা করবেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে ফাঁকা মাঠ ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস। তাই গান্ধি পরিবারের তিন সদস্য ভোটযুদ্ধের প্রচারে নেমে পড়ছেন।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মুজাফফরপুর ও দ্বারভাঙায় দু’টি নির্বাচনী জনসভা করবেন সনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধি। সেই মঞ্চেই উপস্থিত থাকবেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। বিহারের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ ৬ নভেম্বর, ফলে হাতে আর সপ্তাহ খানেক সময় রয়েছে। তা কাজে লাগাতে চাইছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। ঘটনা হল প্রায় এক মাস পর বিহারে ফিরছেন রাহুল গান্ধি। দীর্ঘদিন তাঁর অনুপস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল, কংগ্রেস কি বিহার নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে? কিন্তু একসঙ্গে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা ও সনিয়া গান্ধির প্রচারে নামার সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে মহাগঠবন্ধন।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য ১২ জনকে স্টার প্রচারক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। বুধবার থেকেই প্রচার শুরু করবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সনিয়া ও রাহুল। ৩০ অথবা ৩১ অক্টোবর বেগুসরাই ও সহরসা’তে জনসভা করবেন প্রিয়াঙ্কা।
শীর্ষ নেতৃত্বের প্রচারের জন্য আসন বাছাইয়ের কাজ চলছে হাইকমান্ড স্তরে। ইতিমধ্যেই দলের কংগ্রেসের অন্যতম দুই শীর্ষ নেতা কেসি বেণুগোপাল ও রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা প্রচারে সক্রিয় ভাবে নেমেছেন। বাংলার প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও এক দফা প্রচার করেছেন।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস এবার বিহারে ৬০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। গতবার তারা ৭০টি আসনে লড়েছিল। এবার জয়ের সম্ভাবনা বেশি এমন আসনগুলিতে ফোকাস করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেতৃত্বের এই দেরি করে প্রচারে নামা কোনও নতুন বিষয় নয়, বরং এটি দলের কৌশলেরই অংশ। শেষ দফায় প্রচারে ঝড় তুলে ভোটের লড়াইয়ে উত্তাপ বাড়াতেই এই পরিকল্পনা।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিহারে প্রচারে যাবেন। ফলে এনডিএ এবং মহাগঠবন্ধনের মুখোমুখি লড়াইয়ে গতি আসবে বুধবার থেকেই।
উল্লেখ্য, বিহারে এসআইআর কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন রাহুল গান্ধি ও তেজস্বী যাদব। রাহুলের নেতৃত্বে বিহারে ‘ভোট অধিকার যাত্রা’ ব্যাপক সাড়া পায়। সেই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন তেজস্বীও। কিন্তু পরবর্তীতে রাহুলকে আর বিহারে দেখা যায়নি। তাতেই প্রশ্ন ওঠে, গান্ধি পরিবার বিহারে কি সেভাবে প্রচার করতে চাইছেন না? এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট খবর না থাকায় যথেষ্ট মুষড়ে পড়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীদের পাশাপাশি দলের কর্মী সমর্থকরা। এই অবস্থায় সনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা বিহারে প্রচার করতে আসছেন, এ খবর আসতেই চাঙ্গা কংগ্রেস তথা গোটা বিরোধী শিবির। প্রথম দফার আগে শীর্ষ নেতৃত্ব প্রচারে যে ঝড় তুলবেন, সে কথা বলাই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *