কুয়াশার দাপটে পথ দুর্ঘটনায় বাড়ছে রাজ্য প্রাণীর মৃত্যু, আতঙ্কিত পরিবেশ কর্মীরা
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
বাঘরোল বাঁচাতে প্রচার চালাচ্ছে পরিবেশ কর্মীদের একাংশ। কিন্তু সে প্রচার গাড়ি চালকদের কানে পৌছাচ্ছে কী প্রশ্ন উঠছে বারেবারে বন্যপ্রাণী দুর্ঘটনা। জাতীয় সড়ক হোক বা রাজ্য সড়ক প্রায় নিয়ম করে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হচ্ছে বাঘরোল, কটাশ, ভাম, গন্ধ গোকুল। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই হারিয়ে যাবে বন্য প্রাণী।
আমতা-বাগনান সড়ক হোক বা ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। সর্বত্র একিই ছবি। সকাল হলেই দেখা মিলছে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে বাঘরোল সহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর। কনকনে শীত ও কুয়াশার দাপট বাড়ছে। রাস্তায় দৃশ্যমান্যতা কমে গিয়েছে। এমন একটি সময়ে আমতার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে পশু মৃত্যুর ঘটনা। পূর্ব গাজিপুর, নারিট, আমতা সোনামুই সহ বিভিন্ন এলাকায় বাস করে রাজ্য প্রাণী বাঘরোল। কিন্তু কুয়াশা মাখা পথে রাস্তা পার হতে গিয়েই গারির সম্মুখীন হয়ে পড়ছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হচ্ছে। গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক মাসের হিসেব বলছে, বাঘরোল সহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০টি। এই সংখ্যা যে আরও বাড়তে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন পরিবেশ কর্মীদের একাংশ।
হাওড়ার বাগনান-এর বাসিন্দা বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামাণিক, সোনামুই গ্রামের বাসিন্দা সপর্বন্ধু অনির্বাণ সেনাপতি, উদং গ্রামের শিক্ষক তথা পরিবেশ কর্মী প্রদীপ রঞ্জন রীত বিভিন্ন সময় বাঘরোল সহ বন্য প্রাণীদের উদ্ধার করে তাদের উপযুক্ত পরিবেশে মুক্ত করেন। এবার ওঁরাও বাঘরোল সহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর দুর্ঘটনায় মৃত্যু দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধের পরেই আমতা-বাগনান সড়কে নজরে আসে আবারো একটি বাঘরোল রাস্তার ধারে পরে রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তা বুঝতে দেরি হয়নি অনির্বাণের। ওঁর কথায়, রাস্তার ধারে বাঘরোলের এরকম মৃত্যু দেখতে-দেখতে আর ভালো লাগে না। অন্যদিকে চিত্রকের কথায়, এক বছরে গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে চারটি বাঘরোল, বনবিড়াল ও সজারু উদ্ধার হয়। চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষনের পর সুস্থ হতেই মোট বারোটি প্রাণীকে ওদের স্বাভাবিক আবাসস্থলে মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্ত যেভাবে বন্য প্রাণীর দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর আসছে তা ভয়ঙ্কর।