বাজল ছুটির ঘণ্টা

রঙ বেরঙের পোশাক পড়ে শেষ দিনটা স্কুলে কাটাল পড়ুয়ারা

কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ

ছুটি ছুটি ছুটি, ঘুচল এবার পড়ার তাড়া অঙ্ক কাটাকুটি। শনিবার স্কুল হয়ে দুর্গা পুজোর ছুটি পড়ে গেল পড়ুয়াদের। ছুটির আনন্দে শুধুই দুর্গা দেখার পালা। গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়ারা স্কুল ইউনিফর্ম ছেড়ে রঙ বেরঙের পোশাক পড়ে শনিবার স্কুলে এসেছিল। তারপর ক্লাস শেষে ছুটির ঘন্টা পড়তেই পড়ুয়াদের চোখেমুখে তখন আনন্দের ঢেউ খেলছে।

আমতা পশ্চিম চক্রের মেনকা স্মৃতি বিদ্যামন্দির নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। এ দিন স্কুল হয়ে দুর্গা পুজোর ছুটি পড়ে গেল। পুজোর আগে শেষ দিন স্কুলে পড়ুয়ারা এসেছিল রঙবেরঙের পোশাক পড়ে। অন্যান্য দিনের থেকে এদিনটা হাসিমুখে কাটিয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজব করেছে। আবারও বেশ কিছুদিন পর দেখা হবে। শিক্ষকদের সঙ্গেও পুজো নিয়ে গল্প হয়েছে। পুজোয় কীভাবে কাটাব, কতগুলো ঠাকুর দেখব সবকিছুর কথাবার্তা হয়েছে। ঠাকুর দেখার জন্য যেন তর সইছিল না। স্কুলের গেট খোলার অপেক্ষাটুকু। এরপর ছুটির ঘন্টা পড়তেই দৌড়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌভিক চৌধুরী বলেন, “ওরা এখন পুজোর আনন্দে বিভোর। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমী কীভাবে কাটাল সবটাই লিখে কেউ ছবি এঁকে দেখাবে বলেছে। ওদের জন্যই আমাদের সমস্ত আনন্দ। স্কুলে ওরা থাকলে আমরাও আনন্দে থাকি। আমরা সবাই এখানে একটা পরিবার। আবারও স্কুল খুললে ওদের সঙ্গে দেখা হবে।

ধাঁইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এদিন পড়ুয়াদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান করা হয়। কেউ দুর্গা সেজে কেউবা লক্ষ্মী সরস্বতী সেজে নৃত্য করে সকলের মন জয় করে নিয়েছে। সুকুমার রায়ের ছুটি কবিতা আবৃতি করে শুনিয়েছে। এমন মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠান দেখে অভিভাবক এবং গ্রামবাসীরা। আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেল পড়ুয়াদের। একি দৃশ্য খানপুর জুনিয়র বেসিক স্কুলে। পড়ুয়াদের আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতন। শিক্ষক নাইমুদ্দিন খান বলেন, বাঙালির শ্রেস্ট উৎসব দুর্গোৎসব। ছোটদের আনন্দ সবথেকে বেশি। নতুন জামাকাপড় পড়ে পরিবারের সঙ্গে ঠাকুর দেখবে। স্কুল ছুটির আগে আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেল পড়ুয়াদের। ওদের এই আনন্দে আমরাও আজ সাক্ষী থাকলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *