কু ঝিকঝিক শব্দে দেখা মেলে টয় ট্রেন। মিলতে পারে তুষারপাত । এই শীতে ডেস্টিনেশন হোক দার্জিলিং

কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ

রাস্তার ধার ঘেঁষে টয় ট্রেনের লাইন। মাঝেমধ্যে কু ঝিকঝিক শব্দে ধোঁয়া ছড়িয়ে ছুটে যায় টয় ট্রেন। শিলিগুড়ি-দার্জিলিং পথে বেশ কয়েকবার গাড়িতে চেপে গিয়েছি। তবুও ইচ্ছে করে আবারও যাই এবং তবে বাইক চালিয়ে। রাস্তার ধারে বাইক থামিয়ে দু’হাত বাড়িয়ে সিগনেচার স্টাইল দিয়ে একখান ছবি তুলি।

আমার দেখা চমৎকার যেসব রাস্তা রয়েছে তারমধ্যে অন্যতম শিলিগুড়ি-দার্জিলিং সড়ক। পাহাড়ি পথে মোড়ে-মোড়ে থাকে চমক। হঠাৎ করেই কু কু শব্দ শুনিয়ে চলে আসে দু-কামরার টয় ট্রেন। চলতে চলতেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় তার শরীর। এবার খুব ইচ্ছে বাইকে চেপে দার্জিলিঙে পৌঁছে যাওয়া। পাহাড়ি পথটায় বাইক থামিয়ে উপভোগ করি সৌন্দর্য। ক্যামেরায় ক্লিক করে স্মৃতি ধরে রাখি।

শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং মূলত চারটি পথে যাওয়া যায়। তিন্ধারিয়া–কার্শিয়াং রুট, দুধিয়া–মিরিক রুট, রোহিনী রুট এবং পাঙ্খাবারি রোড। এই পাঙ্খাবারি রোড দিয়ে যাতায়াতের সময় রাস্তার ধারে চোখে পড়বে বাঁকা পথ আর মোটা বাঁশ। কান পাতলে ঝিঁ ঝিঁ করা পোকাদের ডাক। তবে এই পথে অনেকটা চড়াই-উতরাই রয়েছে। সহজ রুট রোহিনি ধরে যাওয়া।

শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ড থেকে মেলে দার্জিলিং বাস পরিষেবা। বাস ভাড়া ১৩০-১৬০ টাকার মতো। এছাড়া রয়েছে প্রচুর ছোট গাড়ি। যেগুলি বাগডোগরা বিমানবন্দর এবং এনজেপি ও শিলিগুড়ি জংশন রেল স্টেশন থেকে মিলে যায়। ভাড়া মোটের উপর ৩ হাজার টাকা। শেয়ার কারে ভাড়া ২৫০-৩০০ টাকা। নিজস্ব গাড়ি নিয়ে গেলে পার্কিং ম্যালের নিচে। ৫০০ টাকা ভাড়া।

পশ্চিমবঙ্গের ভূস্বর্গ দার্জিলিং গোটা ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস জুড়ে ভরা সিজন। হোটেল মালিকদের ফুরসৎ থাকে না। হোটেলে প্রতিটি রুমের ভাড়া ছাড়িয়ে যায় ৩ হাজার। তবে দার্জিলিং ম্যাল থেকে একটু দূরে নিলে দেড়-দুই হাজার টাকায় মিলতে পারে। এই সময় পর্যটক বেশি আসার কারণে গাড়ি ভাড়া চড়া। কপালে থাকলে ডিসেম্বর শেষ ও জানুয়ারির প্রথম দিকে মিলতে পারে তুষারপাত। সে দৃশ্য কখনো ভুলবার নয়।

দার্জিলিং পৌঁছে হোটেলে রাত্রিবাস। তারপর, কাঞ্চির বাঁশি বেজে উঠবে সেই কাকভোরে। ঘুম চোখে কম্বল ঠেলে হোটেল ছেড়ে গাড়িতে উঠে রওনা দেওয়া। গন্তব্য টাইগার হিল। অন্ধকার থাকতে থাকতেই পৌঁছে যাওয়া। তারপর দু’চোখ ভোরে সূর্যোদয় এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা। এভাবেই আমার কাছে প্রতিবার নতুন কিছু এনে দেয় দার্জিলিং।

Collected Pic

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *