ভ্রমণ মরশুমে সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্পে জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা

রাজন্যা নিউজ ব্যুরো : সুন্দরবনের জঙ্গল পর্যটকদের কাছে বরাবরই পছন্দের জায়গা। মরশুমের সময় অনেক বেশি সংখ্যক পর্যটক সুন্দরবনে হাজির হন। পরিবেশের ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অসাধু ব্যবসায়ী ও লঞ্চমালিকরা কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে বলে অভিযোগ। নির্দিষ্ট দিনে অনুমতি না পেয়ে জঙ্গল সাফারি বন্ধ রাখতে হয় বহু পর্যটককে। পুজোর পর থেকেই গোটা শীতকাল পর্যটকদের ভিড় বাড়বে সুন্দরবনে। এবার অনুমতির কালোবাজারি রুখতে এবং ভ্রমণার্থীদের জঙ্গল ঘোরাতে ব্যাঘ্রপ্রকল্পের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ ব্যবস্থা।

এবার বনদফতরের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগে থেকে অনুপতিপত্র পাশ করাতে গেলে পর্যটকদের নামের তালিকা ও যথাযথ পরিচয়পত্র জমা করতে হবে। জঙ্গলে ঢোকার আগে সেই অনুমতিপত্র নির্দিষ্ট অফিসে গিয়ে দেখাতেও হবে। অনলাইনে অনুমতির সময় পর্যটকদের যে পরিচয়পত্র আপলোড করা হয়েছিল, সেগুলিও যাচাই হবে। সব ঠিক থাকলে তবেই জঙ্গলে ঢোকার অনুমতি মিলবে। অসৎ উপায় নিলে লঞ্চ মালিকরা শাস্তির মুখে পড়তেও পারেন। একাধিকবার অভিযোগ সামনে এলে সুন্দরবনে লঞ্চ ঢোকার অনুমতি একমাসের জন্য বন্ধ রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ব্যাঘ্রপ্রকল্পের অতিরিক্ত ফিল্ড ডিরেক্টর জন জাস্টিন বলেন, সমস্ত অনুমতি অনলাইনে হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় পারমিশন না পাওয়ার অভিযোগ আসছিল। নির্দিষ্ট কিছু টুরিস্ট অপারেটর এবং সাইবার ক্যাফের বিরুদ্ধেই সেই অভিযোগ ছিল। এবার সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন সুন্দরবনে ঘুরতে আসা সমস্ত পর্যটকরা। কোনওরকম ভাবে আগে থেকে পর্যটকবিহীন বোট বা লঞ্চকে জঙ্গলে ঘোরার পারমিশন করানো যাবে না। তাছাড়া একবার পারমিশন হয়ে গেলে তার বদল হবে না। পুজোর পর থেকেই সুন্দরবনে পর্যটকদের ঢল নামবে। এবার কড়া নজরদারি থাকছে বনদফতরের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *