কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে খুন করে পালানোর জন্য আগেই রাস্তা পরিস্কার রেখেছিল সুশান্ত
কল্যাণ অধিকারী, ব্যুরো রিপোর্ট
বহরমপুরের কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে খুনের আগে বেশ কয়েকবার এলাকায় রেইকি করে ধৃত সুশান্ত। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই উঠে আসছে। খুন করে পালাবার জন্য পাঁচিরে লাগানো পেরেক আগে থেকে বাঁকিয়ে রেখেছিল। যাতে করে দৌড়ে পালানোর সময় গায়ে হাতে আঘাত না লাগে।
গত সোমবার ভরসন্ধায় বহরমপুরে কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনা চর্চার সৃষ্টি হয়েছে। গোরাবাজার সুইমিং ক্লাব এলাকায় মেসের সামনেই প্রেমিকের হাতে কুপিয়ে খুন হতে হয় কলেজ ছাত্রীকে। তারপর দক্ষতার সঙ্গে এলাকা ছেড়ে পালায় অভিযুক্ত। যদিও কয়েকঘন্টার মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু যেভাবে ঘটনাস্থল ছেড়ে অভিযুক্ত পালায় তারপর থেকেই তদন্তকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ঘটনাস্থলের প্রায় পঞ্চাশ ফুট দূরে একটি বাড়ির পাঁচির। তার মাথায় পেরেক সোজা করে পোতা। যে জায়গা দিয়ে পালিয়েছিল তার আগে সেই জায়গার পেরেক মুড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনটা অভিযুক্ত আগে থেকেই করে রেখেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
গোরাবাজার শহীদ সূর্য সেন রোড এলাকার খুঁটিনাটি ম্যাপ থেকে খতিয়ে দেখেছে বলেও মনে করছে তদন্তকারীরা! সূত্রের খবর, মালদহের বলরামপুরের বাসিন্দা ধৃত সুশান্ত চৌধুরী কিশোর বয়সে সুতপার বাড়ির পাশে বেশ কিছুদিন ছিল। সেইসময় সুতপার বাড়িতে পড়তে যেত সে। তখন থেকেই ভাললাগা পরে প্রেমে পরিণত হয়ে বলে এলাকার মানুষের কাছ থেকে জানতে পারা যায়। তবে সম্প্রতি সুতপা অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। বিষয়টি ওরই বন্ধুর কাছ থেকেই জানতে পারে সুশান্ত। এরপর থেকেই শুরু হয় সমস্তটা। মেস ও আশাপাশের এলাকা এবং কোনপথে দ্রুত বড় রাস্তায় পৌঁছান যায় সবটাই প্রস্তুতি পর্বে জেনে নিয়েছিল। সেইমতন পাঁচিরে লাগানো পেরেক মুড়িয়ে দিয়েছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কুপিয়ে খুন করার পর পাঁচির টপকে জামা বদলে নেয়। বড় রাস্তায় উঠে বাসে চেপে রওনা দিয়েছিল। পথে অন্য একটি গাড়িতে ওঠে। কিন্তু সড়কে পুলিশের নাকাচেকিং বুঝতে পেরে পালানোর আগেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।
pic collected